কুসুমপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

 

জীবননগর ব্যুরো: মহেশপুরর কুসুমপুর সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি গরুব্যবসায়ী জিয়ারুল ইসলাম রাজু (২৪) ওরফে রাজু আহাম্মদের লাশ উদ্ধার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। গরু আনার জন্য বুধবার রাতে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত রাজু পালিয়ে ভারতের ইছামতি নদীতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। জীবননগর থানা পুলিশ নিহত রাজুর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জীবননগর উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের গরুব্যবসায়ী জিয়ারুল আহাম্মেদ ওরফে রাজু আহাম্মদ গরু আনার জন্য ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর সীমান্তের ৬১/১৮ মেন পিলারের নিকট দিয়ে ভারতের নদীয়া জেলার কেষ্টগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ গ্রামে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ভারতের ১৭৩ ব্যাটালিয়নের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে আসাকালে ভারতের ইছামতি নদীতে ডুবে সে নিহত হয়। নিহত রাজুর লাশ তার সঙ্গীরা উদ্ধার করে বাড়িতে আনেন। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

বিজিবি আরো জানায়, এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে শ্রীনাথপুর বিওপির অধীন হালদারপাড়ায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিরি কুসুমপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শফিকুল ইসলাম বিজিবির পক্ষে ভারতের ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফতেপুর কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর জব্বার সিংহ বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব প্রদান করেন। বিজিবির পক্ষ থেকে এ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিউত্তরে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিএসএফ অত্যন্ত সর্তকতার সাথে থাকবে বলে জানানো হয়।