বিএসএফের গুলিতে জীবননগরের গরুব্যবসায়ী নিহত

মহেশেপুরের কুসুমপুর সীমান্ত দিয়ে গরুব্যবসায়ীদের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা

 

জীবননগর ব্যুরো/মহেশপুর প্রতিনিধি: জীবননগরের গরুব্যবসায়ী রাজাকে (৩২) গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। গতরাতে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে তাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ সদস্যরা। রাতেই তার লাশ নিয়ে আসেন ওই গরুব্যবসায়ীর সাথে থাকা কয়েকজন। তবে বিজিবি বলেছে, রাজা ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে গরুব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম রাজা ওরফে রাজুসহ ৮/১০ জন গতকাল সন্ধ্যারাতে গরু আনার জন্য ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। গতরাত ৯টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ সীমান্ত ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জীবননগরের ধান্যখোলার রাজা ওরফে রাজু ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাজার সাথে থাকা অন্য গরুব্যবসায়ীরা রাজার লাশ নিয়ে আসেন।

গরুব্যবসায়ী রাজা বিএসএফের হাতে হত্যার শিকারের বিষয়টি স্বীকার করেছে বিজিবি। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির টুআইসি মেজর আনোয়ার জাহিদ মাথাভাঙ্গাকে বলেন, রাজাকে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে। তার সাথে থাকা অন্য গরুব্যবসায়ীরা তার লাশ টেনে বাংলাদেশের ভেতরে নিয়ে আসেন।

বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বুধবার রাত ০৯ টায় ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কুসুমপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মেইন পিলার ৬১/১৮-টি হতে ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে (ইছামতি নদীর ওপারে) নদিয়া জেলার কেষ্টগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ গ্রামের নোনাগঞ্জ নামক স্থানে বাংলাদেশী নাগরিক জিয়ারুল আহম্মেদ রাজু (২৪) অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে (গরু আনার জন্য) প্রবেশ করলে ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের টহলদল গুলি করে। উক্ত গুলি বর্নিত নাগরিকের বাম কানে ও মুখে লাগে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দৌড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসার সময় ইছামতি নদীতে পড়ে মারা যায়। পরবর্তীতে ৩/৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক ওই ব্যক্তির লাশ তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। তারা জীবননগর থানা পুলিশকে জানায়। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রতিপক্ষ বিএসএফকে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হচ্ছে।