নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের বিজিবির বিরুদ্ধে ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা চিহ্নিত ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে আটক করে ছেড়ে দিয়েছেন। গুঞ্জন রয়েছে বিশেষ সুবিধা নিয়ে নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার নামজুল তাদের ছেড়ে দেন। সপ্তাহখানেক আগে চুয়াডাঙ্গা নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার নাজমুল আকন্দবাড়িয়া গ্রামের শুকুর ও সুবারেন নেছাকে গ্রামের মসজিদের সামনে থেকে রাত ৯টার দিকে আটক করেন। তারা এলাকার চিহ্নিত ফেনসিডিল ব্যবসায়ী হলেও আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। তারপরও তাদের মাঠের মধ্যে রেখে প্রায় আড়াই ঘন্টা দেনদরবার শেষে ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া বলে গুঞ্জন রয়েছে। সূত্র জানায়, দেনদরবার হয় এলাকার ফেনসিডিল সম্রাট পাপ্পু ঘুড়ার মাধ্যমে।

অপরদিকে ঘটনার পরদিন বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই সাইফুল মিয়ার কাঁঠাল বাগান থেকে ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আহম্মদের ছেলে আলাউদ্দীন ও একই গ্রামের শওকতের ছেলে খোকাকে আটক করা হয়। তারাও এলাকার ফেনসিডিল ব্যবসায়ী। পরে ৪০পাতা ফেনসিডিল জিম্মা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ভারতের বর্ডার এলাকার ফেনসিডিল কারখানার মালিক বিন্দা ৪/৫ দিন আগে জয়নগর চেকপোস্টে এসে টাকা দিয়ে ফেনসিডিলের পাতা গুলো উদ্ধার করে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়। ভারতের বর্ডার এলাকার ফেনসিডিল কারখানার মালিক বিন্দার নিকট থেকে কিনে আনেন আকন্দবাড়িয়া গ্রামের শুকুর ও সুবারেন এবং ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আলাউদ্দীন ও খোকা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার নাজমুল জানান, যা কিছু করেছি সিও স্যারের সাথে কথা বলেই করেছি উনি জানেন। ওনার সাথে কথা বলুন।

চুয়াডাঙ্গা ৬বিজিবি ক্যাম্পের সিও’র মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি টুআইসি জানান, কোথায় ফেনসিডিল বিক্রি হয়, কারা বিক্রি করে, কারা খায় আমরা জানি কিন্তু কিছুই করার নেই। পুলিশ কেনো ধরছে না। আপনারা কেনো লিখছেন না? আপনারা লেখেন। আপনি কেনো হাবিলদার নাজমুলের পেছনে লেগেছেন। ঠিক আছে আপনার অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখবো।