জয়রামপুরের ইমাম মতি হুজুরের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

আর এক গৃহবধকে ফুসলিয়ে দেহভোগের অভিযোগ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর গাতিরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মতি হুজুরের বিরুদ্ধে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবার মসজিদের পাশের বাড়ির আরো এক গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে দেহভোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকে মহল্লাবাসী এবার ওই পাড়ার বারী আমিনের ছেলে হাসানের স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে দেহভোগের অভিযোগ করেছে।

মহল্লাবাসী বলেছে, লম্পট মতি হুজুর গ্রামের বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে নিয়মিতভাবে সেক্সের ট্যাবলেট কিনতো। সে ইতঃপূর্বে জয়রামপুর নওদাপাড়ার ৩ গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে দেহভোগ করে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে তাকে ইমামতি থেকে বাদ দেয়া হয়। গাতিরপাড়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, মতি হুজুর যখন আমাদের মসজিদে ইমামতি করার জন্য প্রস্তাব দেয় প্রথমে আমরা কেউ রাজি ছিলাম না। সে ইমামতি করার জন্য মহল্লার লোকজনের হাত-পা চেপে ধরতে লাগলো। মহল্লার লোকজন বললো খারাপ মানুষও তো ভালো হয়। একবার সুযোগ দিয়েই দেখা যাক। শুধু তাই নয় ডুগডুগি, কাদিপুর, উকতো গ্রামেও এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহল্লায় এখনও পর্যন্ত চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাকে এ ঘটনার পর ইমামের পদ থেকে বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে ইমাম মতি হুজুরের এসব নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে সে গ্রাম থেকে মেহেরপুরে পালিয়ে যায় এবং এখন পর্যন্ত সে গাঢাকা দিয়ে আছে। সে পালিয়ে থাকায় মসজিদে পরিচালিত ইসলামী পাঠাগারটিও বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে পাঠাগারের শিক্ষকের পদ থেকেও বরখাস্ত করেছে।