আইএস-এর বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলা শুরু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরাকের পর এবার সিরিয়ায় আইএস’র ওপর বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে তাদের সাথে রয়েছে মিত্র ৫টি আরব রাষ্ট্র। পেন্টাগন জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। আইএস’র শক্ত ঘাঁটি রাকাসহ কয়েকটি এলাকায় বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪টি বিমান হামলায় আইএস-এর প্রশিক্ষণ এলাকা, নিয়ন্ত্রণ স্থাপনা, যানবাহন ও মজুতাগার ধ্বংস হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইএস’র বিরুদ্ধে হামলা জোরদার ও সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঘোষণা দেয়ার পর এটাই সেখানে প্রথম হামলা। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএস’র বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু হওয়ার আগে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়। পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল জন শিরবি হামলার খবর নিশ্চিত করে বলেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনী ও মিত্ররাষ্ট্রের বাহিনী সামরিক অভিযান শুরু করেছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টকম বলেছে, সুন্নি আরব রাষ্ট্র বাহরাইন, জর্ডান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এ হামলায় অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা করেছে।

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলায় সমর্থন দেয়ার জন্য আবর দেশগুলোর প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বলেছেন, “এটা যুক্তরাষ্ট্রের একার লড়াই নয়। সোমবার সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাঁচটি আরব দেশ। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি জানিয়েছেন, ওই পাঁচটি দেশ হলো, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন ও কাতার। এ দেশগুলোর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত”, বলেন ওবামা।

সিরিয়ায় এ হামলায় আইএস এর অন্তত ৭০ জন জঙ্গি এবং আল কায়দা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলের আরো প্রায় ৫০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকর্মীরা। আইএস জঙ্গিরা সিরিয়া ও ইরাকের অনেক অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। অগাস্ট থেকে ইরাকের আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত প্রায় দুইশ’ বার সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি।

উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রাক্কায় আইএস এর প্রধান কার্যালয়। সোমবার সেখানেও বিমান হামলা চালানো হয়। এছাড়া, আইএস এর প্রশিক্ষণ এলাকা, যানবাহন এবং গুদামেও হামলা চালানো হয়েছে। আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদল ‘খোরাসান গ্রুপ’ এর ওপরও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি বলেন, “আমাদের জনগণকে হুমকি দেয়া সন্ত্রাসীদের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান আমরা থাকতে দেবো না।