নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী : বিমানবন্দরে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকালে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা) এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা দেরিতে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি নিউইয়র্কে পৌঁছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, দুবাইয়ে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে অফলোড করাতে গিয়ে এমিরেটসের ফ্লাইটটি রাত ২টা ৫০ এর পরিবর্তে ভোররাত ৪টা ৩ মিনিটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে দুবাই ছেড়ে যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের বিমানবন্দরে বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা গ্রহণ না করেই শেখ হাসিনা জাতিসংঘ নিরাপত্তাকর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে ভিন্নপথে বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে যান। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর অবতরণস্থল জেএফকে বিমানবন্দরের চার নম্বর টারমিনালের সামনে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা প্রদর্শন করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং স্লোগান লেখা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, শরাফাত হোসেন বাবু জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল বাতিন, আতাউর রহমান আতা প্রমুখ। বিএনপির বিক্ষোভের কাছে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহপ্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ সভাপতি জেড এ জয়, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া প্রমুখ। এদিকে দু পক্ষের ব্যাপক স্লোগানে চার নম্বর টারমিনাল এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেখানে বিপুলসংখ্যক পোর্ট অথরিটি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।