আলমডাঙ্গা ব্যুরো: জিনের বাদশার খপ্পরে পড়ে আলমডাঙ্গার পার-দুর্গাপুরের সরলসোজা কৃষক রাজু হয়েছেন প্রতারিত। নকল সোনার পুতুল গছিয়ে দিয়ে প্রায় অর্ধলাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক জিনের বাদশা। মোবাইলফোনে কথিত জিনের বাদশার সাথে কথা বলে অনেকেই দাবি করেছেন প্রতারকের বাড়ি নিকটবর্তী কোনো গ্রামে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের নিকটবর্তী পার-দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে রাজু (৩০) কৃষি কাজ করেন। কয়েক মাস পূর্বে এক রাতে তার মোবাইলফোনে ০১৯৫৩-৭৭০৮৯০ নম্বর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে নানা প্রলোভন দেখায়। তাকে কথিত জিনের বাদশা সোনার পুতুল পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে। এরপর থেকে মাঝে-মধ্যে কথিত জিনের বাদশা তার সাথে মোবাইলফোনে কথা বলতো। একপর্যায়ে কথিত জিনের বাদশার পাল্লায় পড়ে যায় রাজু। প্রায় দু মাস ধরে কয়েক কিস্তিতে বিকাশ করে জিনের বাদশাকে পরিশোধ করে ৪৫ হাজার টাকা। তারপর পুতুল দেয়। আলমডাঙ্গা স্টেশনের প্লাটফর্মে অজ্ঞাত ব্যক্তি কয়েক দিন পূর্বে তাকে ব্যাগে করে পুতুলটি দিয়ে যায়। পরে পুতুলটি স্বর্ণকারের দোকানে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারে সেটা আদৌ সোনার না। প্রতারিত হয়ে গতকাল শনিবার রাজু পুতুলটি নিয়ে আলমডাঙ্গা হাইরোডে অবস্থিত দোকানে ঢুকে কথিত জিনের বাদশার সাথে মোবাইলে কথা বলছিলো। সে সময় উৎসুক ব্যক্তিরা তাদের কথোপকথন শুনে বুঝে নেন জিনের বাদশার কারসাজির বিষয়টি। তাদের উপর্যুপরি প্রশ্নের মুখে সবকিছু স্বীকার করে রাজু। পুতুলটিও দেখায় উপস্থিতিদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুতুলটি সিসার তৈরি। উপরিভাগ ব্রঞ্জের গ্লিটিং করা। ওই সময় উপস্থিতিদের একজন মোবাইলফোনে রিং দিয়ে কথিত জিনের বাদশার সাথে কথা বলেন। সে কথোপকথনও লাউড স্পিকার অন করে সবাইকে শোনানো হয়। জিনের বাদশা সে সময় আলমডাঙ্গা শহরের আশপাশের আঞ্চলিক শব্দবহুল ভাষায় কথা বলছিলো। জিনের বাদশার মুখের ভাষা শুনে অনেকেই ধারণা করছেন, আলমডাঙ্গা এলাকায় এ জিনের বাদশার অবস্থান।