জয়রামপুর কুমারী দোহার রাস্তা গেছে মরাগাঙের পেটে

গ্রামীণ এ কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের একদম অনুপযোগ : জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের দাবি

 

তাছির আহমেদ: দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা থেকে কুমারী দোহাগ্রামে ঢোকার একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি এবারের আষাঢ়ের পানির তোড়ে প্রায় ১৫ হাত ভেঙে গেছে পার্শ্ববর্তী মরা গাঙের পেটে। তাতে গ্রামবাসী যাতায়াতের সঠিক ব্যবস্থা না পেয়ে পড়েছে মহা-বিপাকে। জনবহুল গ্রামীণ এ কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের একদম অনুপযোগী হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

                জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের অধীন কুমারী দোহা নামক গ্রামবাসীর কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। ফলে রাস্তাটির অনেকাংশে ছোট-বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও রাস্তার পাশের মাটি সরে রাস্তা ভাঙা শুরু করেছে। আর খানা-খন্দে জমে থাকা আষাঢ় মাসের বৃষ্টির পানিতে কাঁদা মিশেল হয়ে রাস্তা সয়লাব। কুমারী দোহার গ্রামবাসী এখান দিয়ে চলাচল করতে যেয়ে তাদের দুর্ভোগ চরমে। জয়রামপুর কাঁঠালতলা থেকে খাঁড়া পশ্চিমে নেমে গেলে এই কুমারী দোহাগ্রাম। এ রাস্তার ব্রিকফিল্ড নামক স্থান চলতি বর্ষার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এই ভাঙা স্থানের রাস্তার মাটি পানির সাথে চলে গেছে পার্শ্ববর্তী মরা গাঙের পেটে।

                ভুক্তভোগী কুমারী দোহাগ্রামের মানিক, আকবর, সেলিম উদ্দিন বললেন, আমাদের নেতারা ভোটের সময় আসেন, ভোট নিতে এসে প্রতিশ্রুতি দেন রাস্তাটি পাঁকাকরণের। কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে আর খোঁজ থাকে না নেতাদের। কেন থাকবে? আমরা তো কলুর বলদ! খানা-খন্দে ভরে যাওয়া রাস্তাটির অজ্ঞাত কারণে ভেঙে যাওয়া স্থানে ইউনিয়ন কাউন্সিলের কাবিখা বা কোনো প্রকল্পের আওতার শ্রমিক দিয়ে সংস্কার করা হয় না। এবারের মরসুমের পানির তোড়ে ব্রিকফিল্ড নামক স্থানে আরসিসি পাইপ দিয়ে দ্রুত পানি চলাচল করতে না পারায়, প্রায় ২০/২৫ ফুট লম্বা আর ২৫ ফুট চওড়া স্থান ভেঙে চলে গেছে মরা গাঙে। এলাকাবাসী এ রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে পারছে না। মাঠের উৎপাদিত ফসল তারা হাট-বাজারে নিতে পারছেন না।

                উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসসূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকা জুড়ে মিলে মোট ৬৭৮ কিলোমিটার কাঁচাপাকা রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে কাঁচা রাস্তা ৩৯১ কি.মি. এবং পাকা ২৩৯ কি.মি. আরও আছে আরসিসি ১ কি.মি. এবং হেরিং ও ফ্লাট সোলিং ৪৮ কিলোমিটার রাস্তা। হিসাবে দেখা গেছে, মোট রাস্তার ৬০ ভাগ রয়েছে কাঁচা।

                হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মিন্টু শাহ এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।