গাংনী প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভনে এক অন্ধ ভিক্ষুকের এক কিশোরী কন্যাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরী গত শুক্রবার বিকেলে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামে। অভিযুক্তরা হচ্ছে- ওই গ্রামের ছামেদ আলীর ছেলে রাসেল হোসেন (২৮) এবং রসুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২২)। আত্মগোপন করেছে অভিযুক্ত ওই দুজন।
অভিযোগে প্রকাশ, ভোলাডাঙ্গা গ্রামের ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একই গ্রামের রাসেল হোসেন। লাল শাড়ি পরে বউ হওয়ার বাসনা নিয়ে সব কিছু উজাড় করে দেয় ওই কিশোরী। দীর্ঘ ৩ মাস যাবত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেহভোগ করার পরও বিয়েতে কালক্ষেপণ করতে থাকে রাসেল। এক পর্যায়ে জানতে পারে রাসেল বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। বিষয়টি সমাজপতিদের জানিয়েও কোনো বিচার মেলেনি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাসেল ও তার সঙ্গী শহিদুল কিশোরীর বাড়িতে আসে ও রাসেলের শষ্যাসঙ্গী হলে বিয়ে করা হবে বলে কৌশলে বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে নিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে এবং বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। শুধু তা-ই নয়, অসুস্থ কিশোরী ও তার পরিবারের লোকজনকে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয় ওই যুবকরা। অবশেষে প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই কিশোরী শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় রাসেল ও শহিদুলকে আসামি করা হয়েছে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। মামলা রেকর্ডের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারে তাৎক্ষণিক অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু তার আগেই আত্মগোপন করেছে অভিযুক্তরা। মামলায় রাসেলকে প্রধান আসামি ও এ অনৈতিক কাজে সহায়তা করার জন্য শহিদুলকেও আসামি করা হয়েছে। সেইসাথে গতকাল শনিবার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।