দোকানপাট সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময় বৃহস্পতিবারে শেষ
উজ্জ্বল মাসুদ: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরের অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে দির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। দু একদিনের মধ্যেই এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার কয়েকটি দোকান সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল চত্বরে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে ওঠায় যেমনি হাসপাতালেল সৌন্দর্য হানি হচ্ছে, তেমনি বিভিন্নভাবে সমস্যাও হয় রোগী সাধারণের। এরই প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলামের উপস্থিতিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান সম্প্রতি দোকানপাট সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নমনীয়তার সুযোগ নিয়ে একের পর এক দোকানপাট গড়ে ওঠে এখানে। ইতঃপূর্বে দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও পুনরায় সিভিল সার্জন ও কয়েকজন প্রভাবশালী চিকিৎসকের পরোক্ষ সহযোগিতায় একের পর এক গড়ে ওঠে দোকান। হাসপাতালে ঢুকতেই চোখে পড়ে কয়েকটি ফলের দোকান। পাশেই রয়েছে চা’র দোকান। হাসপাতালের বিদ্যুত উপকেন্দ্রের পাশে স্থাপন করা হয়েছে পাঁচটি চা’র দোকান। অভিযোগ রয়েছে, চা দোকানের আশপাশ এলাকায় নেশাখোরেরা গাঁজা ও ফেনসিডিল সেবন করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে গালাগালি করে। অনেক সময় বখাটে যুবকরা দোকানের আশপাশে ঘুরঘুর করে বলেও অভিযোগকারীরা জানায়। এসব বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দোকানপাট উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার কয়েকজন নিজ উদ্যোগে তাদের দোকান সরিয়ে নিয়েছে। যেহেতু কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময় গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে গেছে, তাই যেকোনো দিন এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। তবে কয়েকজন দোকানি বলেছেন, এখানে সবাই সমান। যদি হাসপাতাল এলাকার দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হয় সবারই করতে হবে। কারোর দোকান বাঁচিয়ে অন্যগুলো উচ্ছেদ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানান তারা।