স্টাফ রিপোর্টার: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিবার্ষিক অভিভাবক সদস্য পদের নির্বাচন। প্রচার প্রচারণা শেষে আ.লীগের দু পক্ষ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে রয়েছে শতভাগ আশাবাদী। তবে সচেতন এলাকাবাসীর ধারণা বিএনপি জামায়াত সমর্থিত অভিভাবকদের ভোটে নির্ধারিত হবে প্রার্থীর বিজয়।
জানা গেছে, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৫টি পদের বিপরীতে স্থানীয় আ.লীগ দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে ভোটযুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। একটি প্যানেলে রয়েছেন আব্দুল ওহাব মণ্ডল, আব্দুর শুকুর, মমিনুল ইসলাম মোমিন, আনিছুর রহমান ও আকলিমা বেগম। অপর প্যানেলে রয়েছেন নজরুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও ময়না খাতুন। নির্বাচনের শুরুতে উভয় প্যানেল ভোটগ্রহণ ছাড়াই পকেট কমিটির মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ছক আটে। ক্ষমতা ভাগাভাগিতে একমত হতে না পেরে অবশেষে স্থানীয় আ.লীগের মধ্যে দু ভাগে ভাগ হয়ে গোপন ব্যালটের পথ বেঁচে নেয়। এরই মাঝে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে অনেক অঘটন। শত্রু হয়েছে মিত্র আবার মিত্র হয়েছে শত্রু। যা স্থানীয়রা প্রত্যক্ষ করছেন। নির্বাচনে বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত ব্যাক্তিরে ভোটে অংশগ্রহণ করতে না দিলেও মূলত তাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে কে পরবে বিজয়ের মালা। কারণ ৫৪১টি ভোটারের মধ্যে বিএনপি জামায়াতের ভোট অর্ধেকের বেশি।
এলাকাবাসী জানায়, ক্ষমতা পেতে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজ প্যানেলের পক্ষে করেছেন ভোটপ্রার্থনা। বিষাদাগার করেছেন একে অপরের বিপক্ষে। প্রার্থীরা যাই করুক না কেন ভোটররা প্রার্থীর যোগ্যতা এবং অবস্থান দেকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য অভিভাবক সদস্যরা নির্বাচিত করবেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অভিভাবকরা ভোটের মাধ্যমে ৪ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা অভিভাবক সদস্য। আর শিক্ষকরা নির্বাচিত করবেন দুজন পুরুষ ও একজন শিক্ষক প্রতিনিধি। এরাই নির্বাচিত করবেন একজন সভাপতি। ভোট প্রদানের পর ভোটারদের তেমন মূল্যায়ন না থাকলেও সদস্যদের মূল্য বেড়ে যাবে বহুগুণ। কারা বিজয়ের মালা পরবেন তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ভোটগ্রহণ এবং ফল প্রকাশ পর্যন্ত।