জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর ডিগ্রি কলেজে হরহামেশা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। একের পর এক কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে এর প্রতিকার চেয়ে ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার এমনই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার জীবননগর ডিগ্রি কলেজের সাধারণ ছাত্র উপজেলার খয়েরহুদার আহত মেহেদী হাসান তন্ময়ের শারীরিক অবস্থা উন্নতীর দিকে বলে জানা গেছে। ছাত্রশিবির সন্দেহে মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। আহত তন্ময়কে উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে একটি সূত্র জানায়, মেহেদী হাসান ওরফে ডেও হাসান বর্তমানে কলেজের কোনো ছাত্র নয়। কলেজে তার ছাত্রজীবন শেষে হলেও অযাতিতভাবে সে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি দাবি করে প্রতিনিয়ত কলেজে এসে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ না থাকায় হাসাদাহ ও মনোহরপুর এলাকার ছাত্রছাত্রীরা এ কলেজে ভর্তি না হয়ে খালিশপুরসহ অন্যান্য কলেজে চলে যাচ্ছে। যার ফলে কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
উপজেলার খয়েরহুদা মুন্সীপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে তন্ময় মঙ্গলবার সকালে কলেজের লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ছিলো। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান নেতৃত্বে ক্যাডারবাহিনী লাইব্রেরিতে গিয়ে তন্ময়কে বাইরে ডেকে এনে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারীদের অভিযোগ সে ছাত্রশিবির কর্মী।
খয়েরহুদা গ্রামবাসী জানায়, মেহেদী হাসান তন্ময় জীবননগর বাঁকা গ্রামের আড়তব্যবসায়ী মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। সে নানার বাড়ি খয়েরহুদা গ্রামেই থাকে। তার মা পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে তাকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। মেহেদী হাসান তন্ময়ের ব্রেন স্বাভাবিক নয়। এরপরও সে গ্রামে একজন নিরীহ ও ভদ্র ছেলে হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। সে কোনো দলের সাথেও জড়িত নয়। একজন নিরীহ ছাত্রের ওপর ক্যাডারবাহিনীর এ অমানুষিক নির্যাতনের খবর খয়েরহুদা গ্রামবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
গ্রামবাসী জানায়, নির্যাতনকারীরা কারো প্ররোচণায় পড়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।