গাংনীর ভবানীপুর সড়কে বোমা হামলায় দুজন আহত : নেপথ্যে মাদকব্যবসা?

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সড়কে বোমা হামলায় দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন-ভবানীপুর গ্রামের পিজের আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৪৫) ও পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেয়ালা গ্রামের খিলাফত আলীর ছেলে মজিবুল ইসলাম (৪৪)। চিকিৎসার জন্য দুজনকেই কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন স্থানীয় জনতা। মাদকব্যবসার জের ধরে ওই হামলা বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা ও পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবানীপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম ও মোস্তফা মিয়া এবং শেয়ালার মজিবুল ইসলাম গতরাতে মোটরসাইকেলযোগে রামনগর গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রামনগর ও ভবানীপুর গ্রামের মাঝামাঝি তালতলা নামক স্থানে পৌঁছুলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বোমাঘাতে গুরুতর আহত হন আনারুল ও মজিবুল ইসলাম। তাদের চিৎকারে ভবানীপুর গ্রামের কিছু মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত দুজনের চোখ ও হাতে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় তারা কিছুটা সুস্থ্য হলেও আশঙ্কামুক্ত নয়।

এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার শেখ ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলের অদূর থেকে অবিস্ফোরিত একটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত আনারুল ও মজিবুলসহ ভবানীপুর, রামনগর ও ব্রিজপুর গ্রামের কয়েকজন মাদকব্যবসার সাথে জড়িত। তারা একই সাথে ব্যবসা করলেও মাঝে-মধ্যে তাদের মদ্যে বিরোধ বাধে। রোববার রাতে ভবানীপুর গ্রামের আক্কাস আলীকে চার বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে ওই মাদকব্যবসায়ীচক্রের মাঝে নতুন বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে বোমা হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী ও পুলিশ। বোমা হামলার সন্দিগ্ধ কয়েকজনের বাড়িতে গতরাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। তবে কেউ আটক হয়নি।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানান, মাদকব্যবসার বিরোধ কেন্দ্র করে হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার অভিযানের পাশপাশি ঘটনার জোর তদন্ত চলছে। দ্রুত রহস্য উদঘাটনের আশা করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আগে থেকে ওত পেতে ছিলো দুর্বৃত্তরা। বোমা হামলাস্থলের অদূরে গাছগাছালির মধ্যে মানুষের অবস্থানের চিহ্ন রয়েছে। সেখান থেকেই অবিস্ফোরিত বোমাটি উদ্ধার করা হয়।