সংসদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত : মন্ত্রিসভায় থাকবে জাপা

 

স্টাফ রিপোর্টার: সঙ্কট প্রকট হচ্ছে জাতীয় পার্টিতে। ক্ষমতা আর আধিপত্যের দ্বন্দ্বে দলটি এখন দৃশ্যত দু ভাগে বিভক্ত। এ বিভক্তি বিরোধী দল জাতীয় পার্টিতেও। গতকাল আলাদা দুটি বৈঠক করেছেন বিরোধী দলের এমপিরা। বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ তার অনুগত এমপিদের নিয়ে সংসদীয় দলের বৈঠক করেছেন। এতে পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ কয়েকজন এমপি অংশ নেননি। তারা আলাদা বৈঠক করেন এরশাদের কার্যালয়ে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জাপা মন্ত্রিসভায় থাকবে।

গতকাল রোবিবার বিকেলে সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুপুর ২টায় সংসদীয় দলের বৈঠক বসার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বিকেল প্রায় পৌনে ৪টার দিকে। ৫টার কয়েক মিনিট পর বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিঙে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমাদের দলে কোনো বিভক্তি বা গ্রুপিং নেই। জাপা এক ও ঐক্যবদ্ধ। এতে দলের সিনিয়র এমপি ও পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।

রওশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের বৈঠক হলেও এতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পার্টি চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া সংসদীয় দলের বৈঠক হতে পারে না- এমন দাবি এরশাদপন্থি নেতাদের। সংসদে বিরোধীদলের উপনেতা নির্বাচন নিয়ে চলা টানাপড়েনের মধ্যে গতকালের সংসদীয় দলের বৈঠকে এরশাদ-রওশন মুখোমুখি হওয়া এবং আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে এমনটি আশা করেছিলেন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু উল্টো দু নেতা অনুগতদের নিয়ে বৈঠক করায় হতাশ হয়েছেন নেতাকর্মীরা। এর মাধ্যমে পার্টিতে যে সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে তার স্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলছে।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদীয় দলের বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর এরশাদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সংসদ ভবনে যান। এর কিছুক্ষণ পর যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পরে তারা এরশাদের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সেখানে এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু, মো. নোমান, এমএ হান্নানসহ সাত থেকে আট জন এমপি উপস্থিত  ছিলেন। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের সম্মেলন কক্ষে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের ৪০ জন এমপির মধ্যে ২৮ জন অংশ নেন।
বিকেল ৫টার দিকে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে এরশাদ এতে যোগ দেন। তবে মিনিট পাঁচেক অধিবেশনে যোগ দিয়েই তার কক্ষে ফিরে যান বুকে ব্যথার কথা বলে। বৈঠক শেষে মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সাংবাদিকদের বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া সংসদীয় দলের বৈঠক আহ্বান করার এখতিয়ার আর কারো নেই।