৮৩ জন কর্মকর্তা বেতন-বোনাস না পাওয়ায় ঈদুল আজহার আনন্দ ম্লান হতে চলেছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের ৮৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা ও পবিত্র ঈদের বোনাস না পেয়ে দারুণ সমস্যায় পড়েছেন। ফলে আসছে ঈদুল আজহার আনন্দ ম্লান হতে চলেছে।

যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন বোনাস পাচ্ছেন না তারা হলেন- মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ৭ জন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২ জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৭ জন, স্বাস্থ্য সহকারী ২৭ জন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএসসিপি) ২৬, অফিস স্টাফ ৭ জন। এর মধ্যে আগস্ট মাসের বেতন ভাতা প্রায় ৯ লাখ টাকা ও ঈদ বোনাস ৭ লাখ ১২ হাজার টাকা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের মোট ৮৩ জন কর্মকর্তা আগস্ট মাসের গত ১ সেপ্টেম্বর পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্ত গত ১৬ আগস্ট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহাদাৎ হোসেন পদোন্নতি পেয়ে সিভিল সার্জন পদে বগুড়া জেলায় যোগদান করেন। এরপর একই অফিসের চিকিৎসক ডা. সোহেল আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতার চেকে সই করার ক্ষমতা না থাকায় তারা বেতন ভাতা পাননি।

ডা. শাহাদাৎ হোসেন বদলির পর একই পদে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চন্দন চক্রবর্তীকে গত ২ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদরে বদলি করা হয়। অথচ গতকাল শনিবার পর্যন্ত তিনি যোগদান করেননি। ফলে বিপাকে পড়েছেন এ অফিসের ৮৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আবু হোসেন জানান, প্রতি মাসের ১ তারিখে বেতনভাতা তোলার পর ওই দিনই শেষ হয়ে যায়। বেতনভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দারুণ কষ্টের মধ্যে রয়েছি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেল আহমেদ জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর সমস্যার কথাটি সিভিল সার্জনের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে অবগত করেছি। তবে নতুন পদায়নকৃত কর্মকর্তার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পদায়নকৃত ডা. চন্দন চক্রবর্তী কোনো যোগাযোগ করেননি।