চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা বিদ্যালয়ের দ্বিবার্ষিক অভিভাবক সদস্য নির্বাচন

৫টি পদের বিপরীতে ১০ জন প্রার্থী

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: আগামী ২০ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিবার্ষিক অভিভাবক সদস্য পদের নির্বাচন। ৫টি পদের বিপরীতে ১০ জন প্রার্থী নেমেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতার লড়াইয়ে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা দু ভাগে ভাগ হয়ে নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে করছেন ভোট ভিক্ষা। ভিন্নমতের দু প্রার্থী মনোনয়পত্র কিনলেও তা জমা দিতে দেয়া হয়নি এমন অভিযোগ অনেকের।

নির্বাচনী তফশিল ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গত ২৭ আগস্ট নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্যে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমাদানের দিন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৫টি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ১২টি। এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ অভিভাবক সদস্যের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১২ জন এবং ১ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ২ জন। ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৫৪১ জন। অন্যদিকে দুজন পুরুষ শিক্ষক প্রতিনিধির জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৪ জন এবং ১ মহিলা শিক্ষিকা প্রতিনিধির জন্য ২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার ও ৮ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে এবং আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে বিএনপি সমর্থিত আব্দুল্লা ও কামাল নামের দু প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। মনোনয়পত্র বিক্রি করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা করে। অপরদিকে স্থানীয় আ.লীগে দলীয় কোন্দল থাকায় প্রার্থীরা দু ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি প্যানেলে নির্বাচনী হ্যান্ডবিলে প্রতীক ছাপিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। একটি প্যানেলে রয়েছে আব্দুল ওহাব মণ্ডল (চেয়ার), আব্দুর শুকুর (ছাতা), মমিনুল ইসলাম মমিন (মোরগ), আনিছুর রহমান (গরুরগাড়ি) ও আকলিমা বেগম (কলস) মার্কা নিয়ে হ্যান্ডবিল ছাপিয়েছেন। অপরদিকে নজরুল ইসলাম (আনারস), ছানোয়ার হোসেন (ফুটবল), শহিদুল ইসলাম (হাতপাখা), শরিফুল ইসলাম (মই) ও ময়না খাতুন (মাছ) প্রতীকে হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভোট দিয়ে ২ জন শিক্ষক প্রতিনিধি পুরুষ এবং ১ জন শিক্ষক প্রতিনিধি মহিলা নির্বাচিত করবেন।

এলাকাবাসী জানায়, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে দলীয় কোন্দল থাকায় নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। নির্বাচনী প্রতীক হাতে নিয়ে দু প্যানেলের প্রার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না দেয়ায় সাধারণ অভিভাবকমহলে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ। ফলে আ.লীগ সমর্থিত অভিভাবকদের ভোট দু ভাগে ভাগ হলেও বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত ভোটররা যে দিকে সমর্থন দেবেন তাদের জয় হবে এমনটা মনে করছে স্থানীয়রা।