স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসে ছোড়া হাতবোমায় শিক্ষকসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হল খুলে দেয়ার দাবিতে ছাত্র ধর্মঘটের মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে হাটহাজারি সড়কের ছড়ারকুল এলাকায় এ হামলার পর ৫ জন শিবিরকর্মীকে আটক করেছে হাটহাজারি থানা পুলিশ। তারা হলেন মো. আখতারুজ্জামান (২২), সাব্বির হাওলাদার (২২), মো. ইউসুফ (২৩), ইমরান আলী (২৫) ও মো. তৌহিদ (২৩)।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাসের ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন ছাত্রাবাসে চালানো অভিযানে ৯টি হাতবোমাসহ রামদা, কিরিচ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। সেই সাথে উসকানিমূলক কিছু বই এবং কর্মপরিকল্পনার ছকও পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদ হাসান জানান, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি বাসে করে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বাসগুলো ছড়ারকুলের আগে বালিরটাল এলাকায় পৌঁছুলে একদল যুবক সামনের দুটি বাসে হামলা চালায়। এর মধ্যে একটি বাসে ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক এইচএম কামরুল হাসান।
তিনি জানান, ৬-৭ জন যুবক হঠাৎ বাসের সামনে এসে ঢিল ও ককটেল ছুড়তে শুরু করে। চালক গাড়িটি দ্রুত চালিয়ে সেখান থেকে সরে এলেও বাসের সামনের সারিতে থাকা শিক্ষকরা আহত হন। তিনি আরো জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ছাত্রশিবিরই এ ধর্মঘট ডেকেছে। তারাই বাসে বোমা হামলা চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই এতে জড়িত।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া ৯ জন হলেন প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সোনাম আক্তার ও সুনন্দা বৈদ্য, ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সাবরিনা আলম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক ফাতেমাতুজ জোহরা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরিন আরা চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা হালিমা বেগম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক রওশন আরা আফরোজ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুজ্জামান এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমৃতা নাগ।