বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা কমিটির শুরুতেই বিভেদ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের নিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ কমিটি গঠনের এক ঘণ্টার মধ্যেই বিভেদ দেখা দিয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কমিটিতে এ দু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে যুগ্মআহ্বায়ক করা হয়েছিলো। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত আলোচনাসভায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন আট সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আরও যাদের নাম ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ড. শাহদীন মালিক। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সহসদস্য সচিব করা হয়েছে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে। আলোচনা সভার সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে এ কমিটি ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।

কমিটি ঘোষণার এক ঘণ্টা পার না হতেই ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এই কমিটিতে নেই বলে জানিয়ে দেন। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি এবং রোকন উদ্দিন মাহমুদ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভায় বক্তব্য দিয়েছি। এটা সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি বা বার কাউন্সিলের কোনো সভা নয়। ওই সভায় খন্দকার মাহবুব হোসেন কমিটি ঘোষণার অধিকার রাখেন না। আমাদের সাথে পরামর্শ না করেই তিনি কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন বলে দাবি করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আমি এই কমিটির সাথে নেই। তবে এ বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসনে বলেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদসহ সবার উপস্থিতেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময় তারা এর বিরোধিতা করেননি। তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন এবং গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সাথে কথা বলেই এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় এই কমিটি সভা আহ্বান করেছে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে আলোচনা হবে। এ ব্যাপারে সুব্রত চৌধুরী বলেন, আলোচনা সভায় কমিটি গঠনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। বুধবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিদের সঙ্গে বসে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুরক্ষায় ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করা হবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে স্বাধীন বিচার বিভাগ, বিচারক নিয়োগ পদ্ধতি, বিচারকদের দায়বদ্ধতা ও অভিশংসন শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ড. শাহদীন মালিক ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, বিচার-বিবেচনা না করে তড়িঘড়ি সুপারসনিক গতিতে সংবিধান সংশোধন করা অসাংবিধানিক হবে। সংসদে যে বিল তোলা হয়েছে সেটাতে ভুল আছে। কে ড্রাফট করেছে এটারও একটা ইনকোয়ারি হওয়া উচিত। এ ড্রাফটা আইন মন্ত্রণালয় করেছে। আর মন্ত্রণালয়ের যে এ কাজটা করেছে সে সাংবিধানিক আইনের কোনো পরীক্ষায় পাস করবে না। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী এ অঙ্গনে অনেকদিন প্র্যাকটিস করেছেন। উনিতো ওখানে গিয়ে আইন ভুলে যেতে পারেন না। প্রথমে ভুল স্বীকার করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে সময় নিতে হবে। ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কেন করতে হবে। আলোচনা, বিচার-বিবেচনা করে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
ড.কামাল আরও বলেন, আজকে ঐক্যের একটা ভিত করেছি। আমরা চার আইনজীবী (ড.কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ) বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়ে একটি বিবৃতি মিডিয়ায় দিয়েছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর আগে এ বিষয়ে তুলে ধরেছি। সংবিধানের স্বপক্ষে বলেছি। ৮৮-তে মেজরিটি নিয়ে ৮ম সংশোধনী করা হয়েছিল। সেটা পরে অসাংবিধানিক হয়েছিল। মেজরিটিও সংবিধানবহির্ভূত হতে পারে। সেটা তার প্রমাণ। পার্লামেন্টকে বুঝতে হবে, তারাও অসাংবিধানিক কাজ করে। দুর্ভাগ্যবশত সেটাও ঘটেছে।

ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, সংবিধান প্রণয়নের সময় ৯৬ অনুচ্ছেদ (বিচারকদের অপসারণ) সংসদের কাছে রেখেছি। কারণ তখন সুপ্রিমকোর্ট ম্যাচিউরড হয়নি। ৭২-এর সংবিধানে ৯৫(২)(গ)-এ বিচারক নিয়োগে আইনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। লন্ডনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইন্টারভিউ করে বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি বলেন, অপসারণের বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। এ বিষয়ে আমরা সবাই মিলে একটি লিখিত প্রতিবেদন তৈরি করি।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নেই। সোহরাওয়ার্দী, মানিক মিয়া এ আওয়ামী লীগের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমি জন্মসূত্রে আওয়ামী লীগার। এ আওয়ামী লীগ একবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এখন আরেকবার করার উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে ১৫৩ জন নির্বাচন ছাড়াই সংসদ সদস্য হয়েছেন। সে সংসদ অবৈধ। মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। দিস পার্লামেন্ট ইজ অবৈধ। তারা যেসব আইন করেছে সেগুলোও অবৈধ।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের গায়ে গন্ধ আছে। রাজনৈতিক পরিচয় আছে। আমরা সবাইকে ডেকেছি। গন্ধের কারণে তেমন কোনো সাড়া পাইনি। আজকে বিচার বিভাগ স্বাধীন নেই। সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারার প্রচেষ্টা। ড. কামালকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, আপনার নেতৃত্বে আন্দোলন করব। বিচার বিভাগকে উদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এ আন্দোলন।

ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এটা আমাদের ভাবতে হবে হাইকার্টের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়ার মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের দায়মুক্তি দেয়া হল কিনা। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়েছে টু থার্ড মেজরিটির বলে সংসদ একজন বিচারপতিকে ইমপিচ করতে পারবে। আমার মতে, ১৯৭৩ সালের সরকার, ২০০১ ও ২০০৮-এর সরকারের অ্যাবসলুট টু থার্ড মেজরিটি ছিল। এখন কথা হচ্ছে ভবিষ্যতে যে পার্লামেন্ট ইলেকশন হবে। এমন যদি হয় সে ইলেকশনে কোনো দল টু থার্ড মেজরিটি না পায় তাহলে কি হবে? হাইকোর্টের বিচারপতিরা কি দায়মুক্তি পাবেন। হাইকোর্টের বিচারপতি যদি অফিসে বসে ঘুস খান, এমন কোনো মারাত্মক অপরাধ করে, ধরেন সেটা মেয়েঘটিত। তিনি যদি কোনো খুন করেন তাহলে কি তার শাস্তি হবে না। নাকি সংসদ বলবে তুমি যা ইচ্ছা কর আমি তোমাকে সরাতে পারব না। কারণ আমার টু থার্ড মেজরিটি নেই। এখানে-তো সরকারি দল কোনো বিচারপতিকে ইমপিচ করতে চাইলে বিরোধী দল তাতে সায় দেবে না।

তিনি বলেন, যে দেশে নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গেছে। কখনও কখনও ইঙ্গিতে ফলাফল হয়। সেই দেশে এমন একটা পদ্ধতি প্রণয়ন করা উচিত হচ্ছে কিনা তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।

ব্যারিস্টার রোকন বলেন, বলা হচ্ছে এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। কিন্তু কিভাবে হচ্ছে এ নিয়ে আমার একটা প্রশ্ন আছে। ৭১-এর সংবিধানে ৯৬ অনুচ্ছেদে বলা ছিল প্র“ভড মিসবিহেভিয়র ইনক্যাপাসিটি প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু এ শব্দটা এখানে নেই। তাহলে কি হল। তিনি বলেন, প্রথমে শুনলাম বিচারপতিদের অভিশংসন করার মতো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি করা হবে। স্বাভাবিকভাবে রানিং প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের দুই সিনিয়র বিচারপতির সমন্বয়ে এ কমিটি হবে। কিন্তু আমার কানে একটা কথা ভেসে এসেছে আইনমন্ত্রী বলেছেন, রানিং কোনো বিচারপতি দিয়ে এ কমিটি করা হবে না। সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক দুই বিচারপতির সমন্বয়ে এ কমিটি করা হবে। আমাদের কথা হচ্ছে, নতুন করে আবার তিনটা দালালের জায়গা করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি ও তার পরের দুই সিনিয়র জাজের সমন্বয়ে কমিটি করতে সমস্যাটা কোথায়? তাহলে কি আমরা বর্তমান ল কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হককে ওই কমিটির প্রধান হিসেবে পাব। আমার-তো মনে হচ্ছে তাই। শুনেছি ওনার পরামর্শে নাকি সংবিধান সংশোধন করা হচ্ছে। তাকে আমি অনেক পছন্দ করি। তার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে। ৫ম সংশোধনীর রায় দেয়ার সময়ও-তো খায়রুল হকের একটি অবস্থান ছিল। কথা হচ্ছে, এখন কেন তিনি অবস্থান পাল্টালেন? ল কমিশনে পুরস্কৃত হওয়ার পর এ মত বদলানো কেন। এটা কতটা যৌক্তিক?
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, খায়রুল হক অনেক জ্ঞানী মানুষ। তার জ্ঞানের ঠেলায় আমরা বাঁচি না। তিনি আবার তার মতামত সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে ব্রিফিং করেন। এটা ভালো। পৃথিবীর কোনো প্রধান বিচারপতির খাস কামড়ায় সাংবাদিকরা গেছেন এমন রেকর্ড নেই। কিন্তু তার রুমে সাংবাদিকরা গেছেন। তিনি সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে কথা বলে রেকর্ড স্থাপন করেছেন। আশা করি তিনি তার অবস্থান পাল্টানোর ব্যাপারটিও সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখা করবেন। তাহলেই আমরা জানতে পারব। ব্যারিস্টার রোকন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই ৭২-এর সংবিধানের প্রতি বিশেষ প্রীতি দেখানো হয়- বলা হয় ৭২-এর সংবিধান পুনরুদ্ধার করব। আমি বুঝি না পঞ্চদশ সংশোধনী হওয়ার পর কিভাবে আর ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া সম্ভব! পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমেই তো সব শেষ। আমি তাদের বলব ৭২-এর সংবিধান নিয়ে টানাটানি বাদ দিয়ে দয়া করে এটাকে জাদুঘরে রাখার ব্যবস্থা করেন। যাতে আমরা বলতে পারি এটা আমাদের প্রথম সংবিধান। এখানে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করা হয়েছিল, মত প্রকাশের, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল। সংবিধানের যে নৈতিক স্খলন তা চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। ব্যারিস্টার রোকন বলেন, বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হলে বিচারের সমতা হারাবে। কোনো সংসদ সদস্য কোনো মামলার পক্ষে দাঁড়ালে বিচাপতিরা তার বিপক্ষে রায় দেয়ার সাহস করবে না। ওই সংসদ সদস্য যদি লিগ্যালি কোনো মামলায় জয় লাভ করেন তারপরও এ আইনের কারণে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, জোট সরকারের আমলে সংবিধান সংশোধনের ফল হিসেবে আমরা ১/১১ পেয়েছিলাম। দুই বছর নিগৃহীত, অত্যাচারিত হয়েছিলাম। আমি আশংকা করছি এ সংশোধনীর কারণে সেরকম কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে কিনা।

তিনি সরকারকে সংবিধান সংশোধনের আগে তা নিয়ে বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট বার ও আইনজীবীদের মতামত নেয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, সংবিধান সবার জন্য। দু-একজনের কথায় সংবিধান সংশোধন করা উচিৎ হবে না। সংশোধন করার আগে অবশ্যই সবার মতামত নিতে হবে।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, ইন্টারনেট থেকে বিলটি ডাউনলোড করে পড়ে দেখেছি। প্রিয়াম্বলে (ভূমিকায়) দুটি মিথ্যা কথা বলা আছে। এটা ফ্রট অব দ্য নেশন। বিলটি পড়ে মনে হচ্ছে ৭২ সালের ক্ষমতা ৭৮ সালে কেড়ে নেয়া হয়েছে। মূলত এটা হয়েছে ৭৫ সালে। আবার বলা হয়েছে, ৭২ সালের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রবর্তনের জন্য এ বিল আনা হয়েছে। কিন্তু এ জায়গায় মিল নেই। ৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের বয়সসীমা ছিল ৬২ বছর। এ বিলে লেখা আছে ৬৭ বছর। তিনি এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।