কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলা থেকে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার

 

দুজন গ্রেফতার : গডফাদাররা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলা থেকে ডিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধারসহ মনির (৩২) ও জনি (২২) নামের দু ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার ৭ দিন পর গত সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আফজাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার সাবদালপুর এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলসহ ওই দু ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেন। ছিনতাইকরারী জনি দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আবু মণ্ডলের ছেলে এবং অপর ছিনতাইকারী মনির আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা হাকিমপুর গ্রামের আছের উদ্দিনের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আফজাল হোসেন জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলা নামক স্থান থেকে মনির ও জনি ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের জনৈক আনারুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে সটকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তারা আর ফিরে না আসায় আনারুল বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। থানা পুলিশ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঘটনার সময় ওই এলাকায় ডিবি পুলিশের কোনো টিম ছিলো না। মোটরসাইকেল খুঁজতে আনারুল এদিক সেদিক নানা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে গত সোমবার বিকেলে ছিনতাই হওয়া ওই মোটরসাইকেলসহ ছিনতাইকারী মনির ও জনিকে আটক করে সাবদালপুর এলাকার জনগণ। তুলে দেয় পুলিশের হাতে। এ ঘটনার সাথে চারুলিয়া গ্রামের বহুল আলোচিত ধুলু জড়িত বলেও জানা গেছে। ধুলুকে আটক করতে পারলেই প্রকৃত জানা যাবে।

এছাড়া আটক ওই দু ছিনতাইকারীর মধ্যে মনির আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল ছিনতাইচক্রের সক্রিয় সদস্য। সে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকপাচার, চাঁদাবাজিসহ বোমা তৈরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মোটরসাইকেল মালিক আনারুল বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আটক দুজনকে থানাহাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।