অভিষেকেই তাইজুলের চমক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অভিষেক টেস্টেই চমক দেখানো খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাংলাদেশের নেহাত কম নয়।অভিষেকে ঝড় তুলে আবার তাদের অনেকেরই হারিয়ে যেতে খুব একটা সময়ও লাগেনি! অভিষেকেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম চমকে দিলেনসবাইকে। তিনি দীর্ঘ দৌড়ে টিকে থাকবেন নাকি হারিয়ে যাবেন, সেই প্রসঙ্গ না হয়একদিকে সরানোই থাকলো। আপাতত নিজের এ অনন্য কীর্তিতে বড় একটা প্রশংসা পেতেইপারেন এ তরুণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যে তাইজুলের কীর্তিইবাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য।টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশিবোলারদের মধ্যে তাইজুলের অবস্থান ছয়ে। তিনি ছাড়াও এর আগে আরও পাঁচবাংলাদেশি বোলার নিজেদের অভিষেকে পাঁচউইকেট তুলে নিতে পেরেছিলেন। পথ দেখিয়েছিলেন নাঈমুর রহমান।

২০০০ সালেরনভেম্বরে দেশের অভিষেকের সাথে নিজের অভিষেক একাকার হওয়ার টেস্টে নাঈমুরপেয়েছিলেন ৬ উইকেট। ২০০১’র এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে ৬ উইকেটনিয়েছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম। ২০০৯ সালের এ সেন্ট ভিনসেন্টেই মাহমুদউল্লাহপেয়েছিলেন ৫ উইকেট। ২০১১ অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামটেস্টে ইলিয়াস সানি নেন ৬ উইকেট। পরের বছর এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ৬উইকেট নিয়ে এ দলে নাম লিখিয়েছিলেন সোহাগ গাজী। মজার ব্যাপার হচ্ছে এ দলেনাম লেখাতে বাংলাদেশি বোলারদের খুব প্রিয় প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছয়বোলারের চারজনেরই টেস্ট অভিষেক হয়েছে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটনিয়ে।আরও একটি ব্যাপার হচ্ছে,এ ছয় বোলারের পাঁচজনই স্পিনার।

সেন্টভিনসেন্টে প্রথম দুটো দিন বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন ক্রেগ ব্রাফেট। ওয়েস্টইন্ডিয়ান ওপেনার তুলে নিয়েছেন টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এ তাইজুলই ফিরিয়েছেন তাকে। নিজের অভিষেক কীর্তিতে এ ব্রাফেটের উইকেটটিইবোধ হয় সবচেয়ে তৃপ্তি দেবে তাইজুলকে।