স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের মতো দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, মানবাধিকার রক্ষা ওআইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে বৈঠকে একমত হয়েছেন জাপানেরপ্রধানমন্ত্রীশিনজো আবে ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আধা ঘণ্টাব্যাপি বৈঠকের পরদেয়া ব্রিফিঙে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এ কথা বলেন।শমসের মবিন বলেন, বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত ৫ জানুয়ারিরনির্বাচনে অনেক বড় দল অংশ নেয়নি। এ ব্যাপারে জাপান সরকার অবগত আছে।জাপানের প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বড় দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনারমাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে। যা বাংলাদেশের মানুষ এবংআন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
শমসের মবিন বলেন, বৈঠকেবিভিন্ন বিষয়ে দুজন ঐকমত্য পোষণ করে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দু দেশের (বাংলাদেশ-জাপান) মধ্যে গভীর ও বহুমুখি সম্পর্ক বিদ্যমান। বৈঠক সূত্রজানায়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশেআর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় গণতন্ত্র শাসন ব্যবস্থার গুরুত্বতুলে ধরেছেন খালেদা জিয়া। সেই সাথে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণবিহীন ৫জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। জাপানকে সমর্থন দিয়েজাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে বাংলাদেশ প্রার্থিতাপ্রত্যাহার করার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, এব্যাপারে বাংলাদেশের সরকার আমাদের সাথে কোনো আলোচনা করেনি। ১৯৭৬ সালে শহীদপ্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশ জাপানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছিলো। বাংলাদেশ তিনবারএ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো। এবারই প্রথম বাংলাদেশ প্রার্থিতাপ্রত্যাহার করলো।