কার্যনির্বাহী কমিটির সভাকে অবৈধ আখ্যা মেহেরপুর আওয়ামী লীগের অপর অংশের সংবাদ সম্মেলন

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাকে কথিত ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের অপর একটি অংশ।

গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ আসকার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, আমাম হোসেন মিলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফুয়ান আহমেদ রুপক, সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথাকথিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির যে সভা করেছেন তার সাংগঠনিক কোনো বৈধতা নেই। তারা বলেন, জেলা কমিটির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি থাকলেও কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অংশ নেন মাত্র ৯ জন সদস্য। সাংগঠনিক বৈধতার ব্যাখ্যা নিয়ে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস আরো বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকতে হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সেই সকল বিপথগামী সদস্যদের প্রশ্রয় না দেয়ায় তথাকথিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ বিষয়ে বাবলু বিশ্বাস বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন না। তবে যেহেতু অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেয়ে নির্বাচন করেছেন। সেই হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্রের নিয়মাবলী অনুযায়ী তিনি আপনা আপনি বহিষ্কার হয়ে যান। সেমতে অবৈধ কার্যকরী কমিটির সভা থেকে অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়না।

তিনি আরো বলেন, সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্ষমতায় থাকাকালীন যে দুর্নীতি করেছেন তার প্রতিরোধ করায় বর্তমান সংসদ সদস্যের স্বজনদের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে নেতারা বলেন, আমরা দ্রুত জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল চাই। কেন্দ্রীয় নির্দেশনাও পেয়েছি। সেই ধারায় ওয়ার্ড কাউন্সিল শুরু করা হয়েছে এবং তৃণমূলের ভোটে তারা জেলা আওয়ামীলীগের পদ হারাতে পারেন এই ভয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।