এবারভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাখা স্থাপনের ঘোষণা

 

আল-কায়েদা এবারভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাখা স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। ইন্টারনেটে প্রচারিতভিডিওবার্তায় সংগঠনটির প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি ভারত, বাংলাদেশ ওমিয়ানমারে তাদের কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটবিবেচনায় ভারত তার বার্তাটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নিয়ে দেশব্যাপিজরুরি সতর্কতাজারি করেছে। বাংলাদেশও বার্তাটিকে খাটো করে দেখছে না। কয়েকমাস আগেও এক অডিওবার্তায় জাওয়াহিরি বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা পরিচালনার ঘোষণাদিয়েছিলেন।

পাকিস্তানথেকে আফ্রিকা পর্যন্ত অনেক দেশেই এখন আল-কায়েদা সাধারণ মানুষের কাছে একমূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তান,আফগানিস্তান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, মিসর, নাইজেরিয়া, সোমালিয়াসহমুসলিম অধ্যুষিত অনেক দেশেই তারা ব্যাপক অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।জঙ্গিবাদের নামে চরম নিষ্ঠুর ও নৃশংস কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। আর এসবেরমাধ্যমে তারা দুনিয়াব্যাপি ইসলামকে কেবল অজনপ্রিয়ই করছে না, মুসলিমউম্মাহকেও বিপদগ্রস্ত করে তুলছে। বলতে দ্বিধা নেই, আল-কায়েদার নতুন ঘোষণাভারত ও মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো উপকারে তো আসবেই না, বরংতাদের নতুনভাবে বিপদগ্রস্ত করবে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যখন কোনো দেশেনাশকতা করার মতো সক্ষমতা তৈরি হয়, তখনই আল-কায়েদা প্রধান এ জাতীয় ঘোষণা দিয়েথাকে। কাজেই আশঙ্কা করা অমূলক হবে না যে ভারতীয় উপমহাদেশে,বিশেষ করেবাংলাদেশে তাদের অনুসারীরা একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় তিন ডজনেরও বেশিজঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্প্রতি গ্রেফতার করা জঙ্গিদেরদেয়া তথ্য থেকেও জানা যায়,আনসারুল্লাহ বাংলা টিম,আনসারুল্লাহ সুন্নাহ,জামাতুল মুসলিমিন, জেএমবি,হুজি,হিযবুত তাহ্‌রিরসহ আরো কয়েকটি জঙ্গিসংগঠনের সাথে আল-কায়েদার যেমন আদর্শগত মিল রয়েছে, তেমনি তাদের অনেকেরসাথে আল-কায়েদার যোগাযোগও রয়েছে। এছাড়া ২০০২ সালে আয়মান আল-জাওয়াহিরিবাংলাদেশে অবস্থান করেছিলেন বলেও জানা যায়। ফলে বাংলাদেশেআল-কায়েদা প্রধানের নতুন ঘোষণাকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশই নেই।

বাংলাদেশেসম্প্রতি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাগুলো আন্তর্জাতিকভাবেপ্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু এখানেই থামলে হবে না। এখনো আমাদের গোয়েন্দাকর্মকাণ্ড যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। জেলখানায় বসেও জঙ্গিরা নজরদারি এড়িয়ে বাইরেযোগাযোগ রাখতে পারে। সীমান্তপথে জঙ্গিরা প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক ও আধুনিকঅস্ত্র আনতে পারছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গিবাদের আর্থিক উৎস নিয়ন্ত্রণেওআমাদের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে হবে। ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে যাতে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী কোনো উঠতি বয়সীকে বিপথগামী করতে না পারে সে লক্ষ্যে সচেতনতা ছড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।