বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের কদর কমেনি বিদেশিদের কাছে

 

 

কার্পাসডাঙ্গা থেকে ইউরোপআমেরিকা যাচ্ছে কারুকার্য শোভিত কুটিরপণ্য

মোস্তাফিজুর রহমান কচি/শরীফ রতন:বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। একসময় এদেশের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরিতে কুটির শিল্পের অবদান ছিলো চোখে পড়ার মতো। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এশিল্প এখন আর নেই বললেই চলে। একসময় বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের পণ্যের মধ্যে বাংলার ঘরে ঘরে শোভা পেতো বেতের তৈরি খাট, চেয়ার, সোফা সেট, বাঁশের তৈরি নানান রকম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বর্তমানে মেলামাইন, প্লাস্টিকসহ আধুনিক পণ্যের আড়ালে হারিয়ে গেছে এসব পণ্য। কিন্তু বিদেশে রয়েছে কদর। তারা সখের বশে এসব পণ্য তৈরি করে ঘরের শোভা বৃদ্ধি করছে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মিশন পল্লির কুটির শিল্পীরা তাদের বেত, কাঠ ও বাঁশের কাজ গুটিয়ে নিলেও আবার তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এ কাজে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কার্পাসডাঙ্গা মিশন পল্লির কুটির শিল্পী অর্পিতা মণ্ডল, আদুরী, হ্যাপি, মুনমুন ও রিয়া মণ্ডল জানান, আমেরিকা, ইউরোপ, জার্মান ও ইতালি থেকে পণ্য তৈরির অর্ডার পান যশোর শিমুলিয়ার ক্যাথলিক চার্চ। সেখান থেকে একাজ পেয়েছি। দীর্ঘদিন পর হলেও আমরা কাটাচ্ছি ব্যস্ত সময়। খুঁজে পেয়েছি জীবিকা নির্বাহের পথ। এখানে কী কী পণ্য তৈরি করা হচ্ছে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, খড় ও খেঁজুরের পাতা দিয়ে কুসুম, হাড়ি, মাছের ডালি, কড়াই, সাপের ঝাঁপি, কলমদানি ও প্লেট ইত্যাদি তৈরি করছি। এগুলোর মূল্য কেমন পাচ্ছেন? এর জবাবে তারা বলেন, প্রতিপিস ১শ টাকা হতে ৫শ টাকা।

সচেতনমহল বলেছে, কুটির শিল্প হচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্প। এ শিল্পকে বাঁচাতে যদি সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়তাহলে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে সুনাম। বাঁচবে কুটির শিল্প। দেশি পণ্য রফতানি করে উপার্জন করা সম্ভব হবে বৈদেশিক মুদ্রা।