বঙ্গোপসাগরে শতাধিক জেলেকে অপহরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গোপসাগরে মাছধরার ট্রলার বহরে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা মুক্তিপণের দাবিতে শতাধিক জেলেকে অপহরণ করেছে। গতকাল শুক্রবারদুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়েবয়া ও সোনাদিয়া এলাকায় বনদস্যু জাহাঙ্গীর ও  ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরামাছধরার ট্রলারে হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ,মাছ,জ্বালানি তেল,মোবাইলসেটলুট করে নেয় বলে জানিয়েছেন জেলে ও মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা।

বঙ্গোপসাগরথেকে ফিরে আসা জেলে ও শরণখোলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনজানান,বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়ে বয়া মহিপুর ওসোনাদিয়া এলাকায় ইলিশ আহরণরত মাছধরারট্রলার বহরে স্বশস্ত্র ডাকাতজাহাঙ্গীর ও ফরহাদ বাহিনী হামলা ও লুটপাট চালায়।

এসময় তারা জেলেদেরমারধর করে নগদ টাকা,জাল,মাছ,জ্বালানি তেল,মোবাইলফোন লুট করে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে শতাধিক ট্রলারের মাঝিকে তুলে নিয়েগেছে। অপহৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা,পটুয়াখালীর মহিপুর,বরগুনারপাথরঘাটা,চরদুয়ানি,পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকায় বলে তারা জানা গেছে।

অপহৃতজেলেদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মারুফ মিয়ার এফবিমধু মিয়া ট্রলারের মাঝি আনোয়ার হোসেন (৩২),এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারেরমালিক ও মাঝি রোকা মিয়া (৩৮),নলবুনিয়া দ্বীপচরের আবুল হোসেনের এফবি জনিট্রলারের মাঝি ধলু মোল্লা (৪০),পাথরঘাটার কালিয়ার খাল এলাকার ইসমাইল খানেরএফবি এমরান ট্রলারের মাঝি মোজাম্মেল হাওলাদারের (২৫) নাম জানা গেছে।রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্য জেলেদের পরিচয় জানা যায়নি।

অপরদিকে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান তার এলাকার ১৮ জেলে অপহরণের ঘটনার কথা জেনেছেন।কোস্টগার্ডমংলা (পশ্চিমজোন) জোনাল কমান্ডার কাজী মেহেদী হাসান জানান,জেলেঅপহরণের কোনো ঘটনা তাদের জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে অপহৃতের ঘটনা সঠিকহলে জেলে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে তিনি জানান।