শিক্ষায় দৈন্যদশার এমন স্কুল বন্ধ হওয়া উচিত

জীবননগর পাইলট হাইস্কুল পরিদর্শকালে ক্ষুব্ধ ইউএনওবললেন

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মডেল স্কুল নামেখ্যাত জীবননগর পাইলট হাইস্কুল পরিদর্শনকালে শিক্ষার চরম দৈন্যদশা চোখে পড়লো উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজের। তিনি স্কুলটিতে শিক্ষক সংকট ও শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি অত্যন্ত নগন্য দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তিনি বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে গিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ক্লাস নেন শিক্ষার্থীদের। স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার এমন বেহালদশা দেখে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এভাবে একটি মডেল স্কুল চলতে পারেনা। এমন হতেই থাকলে স্কুলটি বন্ধ হওয়া উচিত।

জীবননগর উপজেলার ঐহিত্যবাহী স্কুল জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আজ এ স্কুলটির অবস্থা নিভু নিভু। ১৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘ দিন ধরে খালি রয়েছে। বিগত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েছে। সভাপতি পদ থেকে কৌশলে সরিয়ে দেয়া অপর এক সভাপতি এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা চলছে বছরের পর বছর ধরে। ফলে গত প্রায় ২ বছর বিদ্যালয়টি চলছে ম্যানেজিং কমিটিবিহীন অবস্থায়। ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় নতুন কোনো শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। ফলে ঐহিত্যবাহী এ বিদ্যালয়টি চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থায়।

এমন অবস্থায় গতকাল বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে যান ইউএনও নুরুল হাফিজ। পরিদর্শনে এসে তিনি স্কুলে শিক্ষার বেহাল দশা দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। তিনি একটি শ্রেণি কক্ষে গিয়ে দেখেন ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্লাসে উপস্থিত আছে মাত্র ১৫ জন। অন্যান্য শ্রেণিকক্ষের অবস্থাও একই রকম দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এমন স্কুল বন্ধ করে দেয়া উচিত। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুন্সী আব্দুস সামাদ জানান, ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।