নাগরিক ভোগান্তি ঠেকাতে স্থানের নামেরশুদ্ধ বানানেরগেজেট হচ্ছে

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: এবারদেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, মৌজা, গ্রাম, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ওয়ার্ড, মহল্লার নামের বানান বাংলা ও ইংরেজিতে শুদ্ধ ওসুনির্দিষ্ট করে গেজেট আকারে প্রকাশ করবে সরকার। শিক্ষা সনদ, জাতীয়পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে একই শব্দেরভিন্ন বানানের কারণে অনেক সময় নাগরিকদেরভোগান্তিতে পড়তে হয়।এই হয়রানি থেকে মুক্ত করতেই যেকোনো স্থানের নামের একটি বানান গেজেট আকারেপ্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে নামের বানানচূড়ান্ত করে প্রকাশ করা পর্যন্ত অন্তত ছয়টি ধাপে কাজ হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসএর ‘স্ট্রেনদেনিং জিও কোডিং সিস্টেম’কর্মসূচির আওতায় এই কাজের জন্য ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ কোটি ৬৪ লাখটাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরু হবে।বিবিএস, বাংলা একাডেমী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই কাজের তদারকিতেথাকবেন। আর এর মধ্যদিয়ে দেশের প্রশাসনিক ইউনিটগুলোর একটি বৃহৎ ডাটাবেজওগড়ে উঠবে বলে জানান বিবিএস কর্তৃপক্ষ।

কর্মসূচির পরিচালক যতন কুমার সাহা জানান, একজন নাগরিকের শিক্ষাসনদ, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজে একই শব্দের বানানেরভিন্নতা দেখা যায়। এতে উচ্চশিক্ষা, ভিসা, চিকিৎসা, পেনশনসহ গুরুত্বপূর্ণকাজে নাগরিকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।‘এ ধরনের সমস্যা কাটাতেই জিও কোডের মাধ্যমে দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, মৌজা, গ্রাম, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, মহল্লার নাম বাংলা ওইংরেজিতে শুদ্ধ ও সুনির্দিষ্টকরণ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এরপরথেকে যেকোনো নামের সুনির্দিষ্ট বানানটি সার্বজনীনভাবে একটি আইনগত মর্যাদায়ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হবে।’ কর্মসূচির পরিচালক আরো জানান, এজন্য সব জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এবংসিটি করপোরেশন এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে নতুন ছক অনুযায়ী তথ্যসংগ্রহ করা হবে। মৌজা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহকারীউপজেলা, সেটেলমেন্ট অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহযোগিতা নেবেন।প্রাথমিকভাবে তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ইউনিটের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরদ্বারা সত্যায়িত হবে। পরে আবার সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে এবং কোনোত্রুটি পাওয়া গেলে তা সংশোধন করা হবে।

তবে প্রস্তুতকৃত তথ্য চূড়ান্তভাবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করবে বিবিএস, বাংলাএকাডেমী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। নামের বানান যাচাই ও চূড়ান্তকরণ কমিটিপ্রস্তুতকৃত খসড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে উপস্থাপন করবে।আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশসহ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগেরমাধ্যমে চূড়ান্ত কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগঅনুমতি দিলে তা বই আকারে ও গেজেটে প্রকাশ করা হবে। সর্বশেষ চূড়ান্ত তালিকাজিও কোডসহ ডাটাবেসে সংরক্ষণ করা হবে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।বিবিএস ১৯৮১ সালে দেশের সব ভৌগোলিক এলাকার জন্য একটি সুবিন্যস্ত এবংঅভিন্ন কোড পদ্ধতি চালু করে।