ঝিনাইদহে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী হাসপাতালে

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ঝিনাইদহের কলমনখালী গ্রামের রোকেয়া বেগম (৪০) নামের মালয়েশিয়া প্রবাসী এক মহিলা সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাথিলা গ্রামের মৃত জব্বার মীরের ছেলে নাজমুল হাসান রাজুর সাথে মোবাইলফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে গত ৩ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে হয়। যশোর বাড়ান্দিপাড়ার নাথপাড়ায় বসবাসরতো নাজমুল হাসান রাজুর সাথে রোকেয়া বেগম ঘরসংসার করা অবস্থায় বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়ে যশোর কতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। কয়েক দিন আগে জামিনে মুক্তি পাওয়ায় রাজুর আতঙ্কে রয়েছেন তিনি।

নির্যাতনের শিকার রোকেয়া বেগম জানান, নারী লোভী যশোর বাড়ান্দিপাড়ার নাথপাড়ায় বসবাসরত নাজমুল হাসান রাজুর সাথে রং নম্বরের মোবাইলফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্কগড়ে ওঠে। গত ৩ বছর আগে স্ত্রী মারা গেছে ও ২ সন্তান আছে বলে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুক ও অধিক নারী লোভী স্বামী রাজু বিভিন্ন অজুহাতে তার নামের ঝিনাইদহ ও ঢাকা গাজীপুরের জমি-জমা বিক্রি করে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে অর্ধেকের কিছু কম টাকা দিয়ে দু বিঘা জমি কিনে বাকি টাকা নিয়ে নেয়। এর পর থেকে আরও টাকা ও জমির বাড়িটি একক নামে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালিয়ে আহত করে ও বাড়িতে জিম্মি করে রাখতো। আবার কয়েকদিন পর নির্যাতন চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতো সে। সেই থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে যশোর কতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। রোকেয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ আমি রাজুর ২য় স্ত্রী নয় ৮ম স্ত্রী!’