ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে : পুলিশি তদন্ত অব্যাহত

অপু রহমানের মৃত্যু হয়েছে আঘাতজনিত কারণে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার অপু রহমানের মৃত্যু হয়েছে আঘাতজনিত কারণে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার আঘাত নাকি দুষ্কৃতীকারীদের হাতুড়ি-বাটামের আঘাত? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই আব্দুল বারেক বলেছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। পুলিশি তদন্ত চলছে।

পুলিশ বলেছে, অপু রহমান মামলার এজাহার নামীয় দুজনসহ তিনজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা নাকি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা? ঘটনার পর থেকেই এ প্রশ্ন উঠেছে। যেহেতু হত্যা মামলার বাদী এজাহারে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে সাতগাড়ি মোড়ের অদূরে হত্যা করা হয়েছে, সেহেতু পুলিশ ঘটনার গভীরে পৌছুনোর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের হস্তগত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আঘাতজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাত কীভাবে হলো? এ প্রশ্নের জবাব খোঁজার পাশাপাশি গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার হাফিজুর রহমান হাপুর ছেলে অপু রহমান রেলবাজারে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করতেন। ঈদের একদিন আগে রাতে তিনি মোটরসাইকেলযোগে সাতগাড়ি মোড়ের অদূরে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে রক্তাক্ত জখম হলে সাথে থাকা একজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। অপু রহমানের বাড়িতেও খবর দেন। সাথে থাকা ব্যক্তি জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আছড়ে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে অপু। অবশ্য ঘটনার রাত থেকেই অপু রহমানের পিতার অভিযোগ, তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে পাশের দোকানিসহ তাদের লোকজন।