মেরিট না থাকাতদন্তেপর্যাপ্ত তথ্যসাক্ষী না পাওয়ায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মাসেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকালরোববারপ্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করেছে। গত দেড় বছরের বেশি সময়েরতদন্তে মামলাটিকে এগিয়ে নিতে পারেনি দুদক। মামলার মেরিট না থাকা, তদন্তেপর্যাপ্ত তথ্য, সাক্ষী না পাওয়ায় এ মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমেনথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, দুদকের মামলারএজাহারে সন্দেহভাজন হিসেবে রাখা হয় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুলহাসান চৌধুরী এবং সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে।জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিগত মহাজোট সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দআবুল হোসেন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেঅভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়াঅভিযুক্তদের বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় অব্যাহতির সুপারিশ করেপ্রতিবেদন কমিশনে জমা হয়েছে। যদি কানাডা থেকে রমেশ শাহের কথিত ডায়েরিসংগ্রহ করা সম্ভব হয়, তাহলে নতুন করে অনুসন্ধান করা যেতে পারে বলেপ্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
অপরদিকে তদন্ত প্রতিবেদনেদুদকের দায়ের করা মামলার আসামি কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের তিনকর্মকর্তা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদইসমাইল ও আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ, সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্য সচিবকাজী ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের ওএসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ডপ্লানিং কনসালট্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. মোস্তফাকেওচার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারেদুদক কমিশনার (তদন্ত ) সাহাবুদ্দিন চুপ্পু একটি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, প্রতিবেদন জমা হয়েছে। এটা যাছাই-বাছাই করে দেখছি। প্রতিবেদনের রেজাল্টসম্পর্কে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।