মিথ্যা তথ্য দিয়ে দামুড়হুদা ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ সহকারীর চাকরি গ্রহণ

 

 

কুড়ুলগাছির বিপাশার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর ঠিকানা গোপন করে পিতার ঠিকানায় চাকরি নেয়া কুড়ুলগাছির গৃহবধূ বিপাশা খাতুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিপাশাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হলে এ নোটিশ দেয়া হয়।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দামুড়হুদা ইউনিয়নে ওয়ার্ডভিত্তিক পরিবার কল্যাণ সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়। ওই নিয়োগে কুড়ুলগাছি গ্রামের সেনাসদস্য মখলেছুর রহমানের স্ত্রী বিপাশা নিজের স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে পিতার বাড়ি ফকিরপাড়া গ্রামের ঠিকানা দিয়ে সরকারি চাকরিরসুযোগ নেন। বিপাশা খাতুন ফকিরপাড়ার শামসুল হকের মেয়ে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নেয়ার বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়।

চাকরি নেয়ার প্রায় ৮ বছর আগে বিপাশা খাতুনের কুড়ুলগাছি গ্রামে বিয়ে হয়। ফলে তিনি সেখানকার স্থায়ী নাগরিক। কিন্তু তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে ও মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নেন। চাকরির ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহারের বিধান থাকলেও তিনি পিতার ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নেয়ায় অভিযোগ করেন ফকিরপাড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের মেয়ে সাহিদা সুলতানা। এ ব্যাপারে সে সময় বিপাশা খাতুনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছিলেন বিষয়টি আমার অফিস বা কর্তৃপক্ষ দেখবে। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হলে বিপাশা খাতুনের প্রতারণা ধরা পড়ে। অবৈধভাবে বিপাশা খাতুনের চাকরি নেয়ার বিষয়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গায় একটি রিপোর্ট ছাপা হয়।

এরই মধ্যে গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) মো. জামাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু মোছা. বিপাশা খাতুন ১/গ ইউনিট, দামুড়হুদা ইউনিয়ন, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে যে, আপনি পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ লাভ করেন এবং যেহেতু মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ লাভের বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে; এবং যেহেতু উপরোক্ত মিথ্যা তথ্য প্রদান আপনার নিয়োগপত্রের ৬ নম্বর শর্তাবলির পরিপন্থি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ৩(বি) ও (ডি) অসদাচরণ ও দুর্নীতি হিসেবে গণ্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এক্ষণে সেহেতু আপনাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫’র ৩(বি) ও (ডি) বিধি মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো এবং কেন আপনাকে চাকরি হতে বরখাস্ত কিংবা উক্ত বিধিমালার আওতায় অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা হবে না তার লিখিত জবাব যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই অভিযোগনামা প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। আপনি ব্যক্তিগত শুনানি প্রদানে আগ্রহী কি-না তাও জবাবপত্রে উল্লেখ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’