আলমডাঙ্গার আটকপাটেদিনদুপুরে কতিপয় যুবকের হামলা

 

 

মারধর করে জখম : ছিনতাইয়ের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা আটকপাটের নিকটে দিনদুপুরেএক যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি রোডের আটকপাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহীন অভিযোগ করেছে, তার কাছ থেকে ১লাখ টাকা,বাইসাইকেল ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়েছে একদল যুবক।

শাহীন অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কাশিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম কয়েক মাস পূর্বে বিদেশ যায়। সে সময় পারিবারিক কিছু জমি বন্ধক রেখে তাকে সহযোগিতা করেছিলো অন্যান্য ভাই। বর্তমানে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানেরা আলমডাঙ্গা শহরের এরশাদপুর মোড়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছেন বন্ধুকিজমি খালাস করতে। গতকাল বুধবার দুপুরে তার ছেলে শাহীন ১ লাখ টাকা নিয়ে বাইসাইকেলযোগে গ্রামে তার বড় চাচাকে জমি খালাসের জন্য দিতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আটকপাট নামক স্থানে পৌঁছুলে একদল যুবক তাকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবংতার কাছে থাকা ১ লাখ টাকা,মোবাইলফোন ও বাইসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। পরে পথচারীরা শাহীনকে উদ্ধার করে কলেজপাড়ার লোকমান হোসেন ক্লিনিকে ভর্তি করে।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হারদী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহীন জানিয়েছে, এ ঘটনার সাথে আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধাম ও কেদারনগরের কতিপয় যুবক জড়িত। সে তাদের অনেককেই চেনে। কেদারনগরের উম্বির ছেলে রুবেল,আনন্দধামের মানোয়ারের ছেলে টিপু,শহিদুলের ছেলে শান্ত, লাল্টুর ছেলে হালিম, কুদ্দুসের ছেলে মনি,মন্টুর ছেলে সজিব, আমিরুলের ছেলে হাবিবুর,স্বপনের ছেলে জীবন,রাজন, চাঁনমিয়া এ ঘটনার সাথে জড়িত। পৃথক একটি সূত্র জানিয়েছে, শাহীনের সাথে ওই যুবকদের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। এর আগে শাহীন তাদেরকে মারধর করেছিলো। ওই যুবকরা গতকাল প্রতিশোধ হিসেবে শাহীনকে মারধর করেছে।