স্টাফ রিপোর্টার: তপুকে টুটুল হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বোমাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে। যারা বোমাটিসহ তাকে পুলিশে দেয় তাদের তেমন কাউকে থানায় নিয়ে অবশ্য বোমার জোগানদাতার সন্ধান করা হয়নি। অপরদিকে তপুর মামা বিপুলকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ মামা-ভাগ্নে দুজনই নিউ মাডার্ন জুয়েলার্সে কাজ করে বলে জানিয়ে বলেছে, গতপরশু রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর বাসস্ট্যান্ডের নিকটের একটি চা দোকানে হামলার শিকার হয়।
গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তথ্যগত কিছু ত্রু টি ছিলো। তপু ও বিপুল একই পক্ষের। বিপুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। আর তারই সাথে থাকা ভাগ্নে তপুকে ধরে ঘরে আটকে একটি বোমাসহ পুলিশে দেয় হামলাকারীদেরই কয়েকজন। বিপুল পলাশপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তপু চুয়াডাঙ্গা সুমিরদিয়া নীলার মোড়ের তৌহিদুল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে টুটুল হত্যা মামলা রয়েছে। গতকাল তাকে এ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গতপরশু রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে মামাকে কুপিয়ে ভাগ্নেকে বোমা দিয়ে পুলিশে দেয়ার ঘটনার আড়ালে রয়েছে দর্শনা থেকে পাচার করে আনা ফেনসিডিলের চালান কেড়ে নেয়ার ঘটনা। যারা চুয়াডাঙ্গায় ফেনসিডিলের চালান কেড়ে নেয় তাদের একজন আলিফ গতপরশু দর্শনায় গেলে ফেনসিডিল বিক্রেতারা তাকে আটকে রাখে। ফেনসিডিলের টাকা দাবি করে। জামিনদার হওয়ার জন্য মোবাইলফোনে পলাশপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বিপ্লবকে অনুরোধ করে। তাতে রাজি না হওয়ার কারণেই পরশু রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলা চালায় আলাউদ্দীনের ছেলে আলিফ, মৃত মসলেম আলীর ছেলে শিহাবসহ তাদের সহযোগীরা।
বোমাটি তপুর কাছে ছিলো না বলে ঘটনার পর থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে। তাকে একটি হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলেও বোমাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে বোমার জোগানদাতার পরিচয় আড়ালেই থেকে গেলো।