চুয়াডাঙ্গায় ২০ দলীয় জোটের কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান


বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাকশাল কয়েম করে দেশজুড়ে নির্যাতন চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ২০ দলীয় ঐক্যজোটের কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নয়, ডিজটাল বাকশাল কায়েম করেছে। এ বাকশালীদের নির্যাতন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে হলে রুখতে হবে। তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মুখোশধারী স্বৈরসরকারকে হটিয়ে দেশ রক্ষা করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা চেম্বারভবন মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। জেলা বিএনপির ১ম যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু, যুগ্মআহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মজিবুল হক মালিক মজুসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীদের তেমন কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয়কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান।প্রধান বক্তা হিসেবেউপস্থিত ছিলেনবিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক বাবু নিতাই রায় চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীরকেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাড. মশিউল আলম। বিশেষ বক্তা ছিলেনকেন্দ্রীয় যুবদলেরশিল্পবিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। প্রধান অতিথি মশিউর রহমান তার বক্তব্যেবিএনপি নেতা-কর্মীদের একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, এইডিজিটাল বাকশালীদের নির্যাতন থেকে দেশবাসীকে রক্ষাকরতে হবে। তা না হলেইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। সে জন্যই ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। প্রধানবক্তানিতাই রায় চৌধুরী জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন,যেভাবে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপিকে সংগঠিত করেছেন, একইভাবে অঙ্গসংগঠনগুলোওসুসংগঠিত করে ফেলুন, কারণ নব্য বাকশালীদের বিরুদ্ধে আগামীর আন্দোলনেআপনাদেরকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন জোরদার করতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ তার অনুসারীরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন না। ২০ দলীয় জোটের কর্মশালা বলা হলেও বিএনপি আর জামায়াতে ইসলামী ছাড়া শরিক অন্যদলের সরব হাজিরও লক্ষ্য করা যায়নি।