এবি ব্যাংকে অভিনব জালিয়াতি : আলোচনায় গিরিধারী

 

স্টাফ রিপোর্টার:এবি ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় অভিনব এক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে।ব্যাংকিং বিধি বিধানের কোনো তোয়াক্কা না করে উত্তরা ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে ৮০ কোটি টাকার দুটি ঋণ দেয়া হয়েছে। উত্তরা গ্রুপের কর্ণধার চুয়াডাঙ্গা আলমাঙ্গার গিরিধারী লাল মোদি। আলমডাঙ্গার লাখ লাখ টাকার অপির্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়া চক্রান্তের অন্যতম সহযোগী হিসেবেও তার বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ।

জানা গেছে, এবি ব্যাংকের ঋণের টাকা তিনটি শাখা বদল করে নগদ তুলে নিয়েছে নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ঋণের বিপরীতে যে জামানত বন্ধক রাখা হয়েছে তাও অন্য প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক ভিন্ন। ঋণ গ্রহীতা এবং সুবিধাভোগী দু প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ঋণের টাকা ছাড়া অন্য কোনো লেনদেন হয়নি বললেই চলে।ঋণের টাকা লেনদেন শেষে ঢাকার ইন্ডাস্ট্রিজের হিসাবটি বন্ধ করে দেয়া হয়।বাধ্যতামসূলক হলেও একটি ঋণ বিতরণের আগে সিআইবির তথ্য ও পর্ষদের অনুমোদন নেয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, এক কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে অন্য কোম্পানি বেনামে সুবিধাভোগ করতেই এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এর সহায়ক হিসেবে বেআইনিভাবে হিসাব খোলা, জালিয়াতদের আড়াল করতে তিন শাখায় টাকা স্থানান্তর, অন্যের সম্পত্তি বন্ধক দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, শাখা ও দু কোম্পানির কর্মকর্তাদের সহায়তায়। এই অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এবি ব্যাংকের এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে ঋণ আদায় না হলে এটি খেলাপি করে এর বিপরীতে প্রভিশন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে।দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন ব্যবস্থাপক।এবি ব্যাংক সূত্র জানায়, তারা নিয়ম-কানুন মেনেই ঋণ দিয়েছে উত্তরা ট্রেডার্সকে। এর দায় তাদেরই। ফলে ঋণের টাকা উত্তরা ট্রেডার্সের কাছ থেকেই আদায় করা হবে।

এ বিষয়ে জানার জন্য এবি ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক আরশাদ মাহমুদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে চাননি। গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষায় তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বিষয়ে জানতে তিনি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।একই বিষয়ে বক্তব্য জানতে উত্তরা ট্রেডার্সের কর্ণধার গিরিধারী লাল মোদি গ্রুপের কার্যালয় মতিঝিলের রহমান চেম্বারে যোগাযোগ করে কথা বলার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। মহাখালীর অফিসে টেলিফোনে যোগাযোগ করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। টেলিফোনে হিসাব বিভাগের একজন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জানান, কোম্পানির কর্ণধার গিরিধারী লাল মোদি দেশে আছেন কিনা তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতেও নারাজ।