মাদকব্যবসার অভিযোগ তুলে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ দুজন আটক

 

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরের জনতা গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে পুলিশ গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে খাইরুল নামের আরেক মাদকব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে।

এলাকাসূত্রে জানাগেছে,মেহেরপুরগাংনীর মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন গতকাল বিকেলে আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের খলিলের ছেলে মাদকব্যবসায়ী খাইরুল হোসেনের নিকট মাদকদ্রব্য কিনতে আসে। ওই সময় এলাকার কিছু লোকজন ইসমাইলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকব্যবসায়ী খাইরুলকে গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে,গ্রেফতারকৃত গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল জানিয়েছেন,তার শ্বশুরবাড়ি গোবিন্দপুরে। তিনি গতকাল মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যে হাটবোয়ালিয়া পৌঁছুলে শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী খাইরুলের সাথে দেখা। খাইরুল তাকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে। খাইরুলের অনুরোধে সে তাকে মোটরসাইকেলে করে আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে যায়। সে সময় কতিপয় লোক হঠাত করেই মোটরসাইকেলে থাকা খাইরুলের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ওই ব্যাগে যে গাঁজা ছিলো তা তিনি জানতেন না বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেছেন,সে সময় গোবিন্দপুরের আলিম ও তার সহযোগীরা তার পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত খাইরুল মাদকব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে,উদ্ধারকৃত ব্যাগের গাঁজা ছিলো তার। গাঁজাব্যবসার সাথে ইসমাইলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গ্রেফতারকৃত দুজনকে আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।