সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তায় চুয়াডাঙ্গায় শুরু হচ্ছে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তায় চুয়াডাঙ্গায় শুরু হচ্ছে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ। ডিএফএ (জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে ফুটবল লিগ অনুষ্ঠিত হবে। ডিএফএ’র নতুন কমিটি গঠনের পর এটিই হবে এ সংস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো ফুটবল প্রতিযোগিতা। অন্যান্য জেলায় ডিএফএর’র সরব কার্যক্রম পরিচালিত হলেও চুয়াডাঙ্গায় তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে এ আয়োজনের কথা জেনে চুয়াডাঙ্গার ফুটবল ক্লাবগুলো তো বটেই,ফুটবল প্রিয় দর্শকরাও মুখিয়ে আছে বাংলার খেলা, বাঙালির খেলা ফুটবল খেলা উপভোগ করার জন্য। গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত ডিএফএ চুয়াডাঙ্গার সভার সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে সহসভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ১০টি সেরা ফুটবল ক্লাব নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ। ১০টি ক্লাব কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সিন্ধান্ত হয় স্থানীয় খেলোয়াড় ছাড়া জেলার বাইরের ৮ জন খেলোয়াড়কে রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত করা যাবে। তবে খেলতে পারবে ৫ জন খেলোয়াড়। খেলায় অংশগ্রহণের জন্য ২৫ আগস্টের মধ্যে ৫শ টাকা অ্যাসোসিয়েশন ফিস ও ৫শ টাকা এন্ট্রি ফিস প্রদানসহ ক্লাবের নিজেস্ব প্যাডে খেলায় অংশগ্রহণের লিখিত আবেদন পাঠাতে হবে ডিএফএ চুয়াডাঙ্গা বরাবর। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রথমবিভাগ ফুটবল লিগের ক্লাবগুলো হলো- শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র,উদ্দীপন ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, বঙ্গমণি ফুটবল ক্লাব, হাজরাহাটি এএফসি ক্লাব, শহীদ রবিউল মিলনায়াতন, শুভ সকাল স্পোর্টিং ক্লাব, মর্নিংস্টার ক্লাব, বাংলাদেশ বয়েজ ও একেসি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিগত কয়েক বছর ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন না হলেও আশার বাণী হলো সেপ্টেম্বরে ডিএফএ আয়োজিত প্রথম বিভাগ ফুটবলের পরপরই অনুষ্ঠিত হবে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। এ আয়োজনের পথ ধরে অনুষ্ঠিত হতে পারে চুয়াডাঙ্গা মেয়রকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতাও।

চুয়াডাঙ্গার ফুটবল ও ক্রিকেটমোদীদের দাবি যে কোনো প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রের প্রবল আগ্রহ এবং সার্বিক সহযোগিতা থাকলেও বেশ কিছুদিন চুয়াডাঙ্গায় কোনো সফল টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়নি। এজন্য অনেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে অবহেলা ও নানা অপবাদে দুষ্টতাকেই দায়ী করেছেন। সম্পাদকের এ অবহেলা ও আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ সংক্রান্ত অস্বচ্ছতার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ডিএসএ’র অনেক সদস্যই বিবব্রতকর অবস্থায় পড়েন।