মহেশপুর সীমান্তের ফাঁকামাঠে নিয়ে গৃহবধূকে রাতভর পাশবিক নির্যাতন

 

ঝিনাইদহ অফিস: ভারতে পাচারের জন্য সীমান্ত এলাকার ফাঁকা মাঠে নিয়ে এক গৃহবধূকে রাতভর পাশবিক নির্যাতন করেছে আব্দুস সামাদ ও শফিকুল ইসলাম শফি নামের দু দালাল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে মহেশপুর উপজেলার মাটিলা গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই মাটিলা গ্রামের আব্দুস সামাদ,জিয়া ও পান্তাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফি পলাতক রয়েছে। আর নারী পাচারকারী সাথী খাতুন রাতেই ভারতে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে জলুলী বাজার থেকে যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম গৃহবধূ জুলিয়া খাতুন (২৫) ও তার স্বামী নুরুনবীকে (২৮) উদ্ধার করে জলুলী বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়,নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষি গ্রীরামপুর গ্রামের নুরুনবীর স্ত্রী জুলিয়া খাতুনকে ভারতের বোম্বে শহরে ভালো কাজ দেয়ার নাম করে নিয়ে আসে ওই এলাকার নারী পাচারকারী সাথী খাতুন। জুলিয়া খাতুন ও তার স্বামী নুরুনবীকে মাটিলা গ্রামে নিয়ে যায় সাথী খাতুন। রাত ১২টার দিকে জুলিয়া খাতুনকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার সময় মাটিলা গ্রামের সীমান্ত এলাকার মাঠের মধ্যে দালাল আব্দুস সামাদ ও শফিকুল ইসলাম শফি গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।

উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ জুলিয়া খাতুন জানান,রাতে আমাকে ও আমার স্বামীকে মাটিলা গ্রামের সামাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে আমার স্বামীকে জিয়া তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সুযোগে তারা আমার ওপর নির্যাতন চালায়। মাটিলা গ্রামের ইউপি সদস্য মহি মেম্বার জানান,এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি হওয়া দরকার। তা না হলে এলাকায় আরো এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান,সকাল ৭টার দিকে জলুলী বাজারে বসে থাকা অবস্থায় নুরুনবী ও জুলিয়া খাতুন নামের দুজনকে আমার কাছে নিয়ে আসে এলাকার লোকজন। পরে তাদের মুখে রাতে সীমান্ত এলাকায় ঘটেযাওয়া সব ঘটনা শোনার পর জলুলী বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়া হয়। পরে বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা এসে তাদের নিয়ে যায়।জলুলী বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ জুলিয়া খাতুন ও তার স্বামী নুরুনবীকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।