দৌলতপুর কলেজের অপসারিত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ

 

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর অনার্স কলেজের সদ্য অপসারণকৃত অধ্যক্ষ রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, উপজেলা সদরে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির সদ্য অপসারণকৃত অধ্যক্ষ রফিকুল আলম তার সময়কালে কলেজ সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখার দুটি হিসাব থেকে চেক নং গছ-৩৬১০৬৬৬ তে ২১৪০০ টাকা ও ৭৬১১৪৩৬ নং চেকের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা এবং গ্রামীণ ব্যাংক দৌলতপুর শাখার স.হ আর ৭৩৭১৮২ নং চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও জালিয়াতিসহ নানা ধরনের দুর্নীতি করেছেন। সরকারিবিধি অনুযায়ী ৬০ বছর পূর্ণ হলে তাকে অবসরে যাওয়ার বিধান থাকলেও কলেজ সভাপতির অনুপস্থিতিতে গত ১০ মে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে তার চাকরির মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধি করে নেন বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়। সেই মোতাবেক গত ৪ জুলাই থেকে তিনি নতুনভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করলে গত ২৫ জুলাই কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় অধ্যক্ষ রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমানুল হক।

এ ব্যাপারে অপসারণকৃত অধ্যক্ষ রফিকুল আলম জানান, তাকে সরকারি পরিপত্র মোতাবেক কলেজ পরিচালনা কমিটি ১ বছর দায়িত্ব পালনের জন্য সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু কলেজের অভ্যন্তরে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের সুবিধার জন্য আমাকে ষড়যন্ত্র করে ২১ দিনের মাথায় সরিয়ে দেয়।