দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের আর মাত্র দু দিন বাকি

 

 

এলাকার ভোটারদের ধারণা ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভবনা

বখতিয়ার হোসেন বকুল: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আর মাত্র ২ দিন বাকি। শেষ দুদিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাচ্ছেন ভোট ও দোয়া। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও থেমে নেই প্রচার-প্রচারণা। কে হচ্ছেন পরবর্তী চেয়ারম্যান? এ নিয়ে চলছে চায়ের দোকানে দোকানে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা আর চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ নির্বাচনে মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেনএবং পরবর্তী সময়ে হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম এমপি আলী আজগার টগরের আহ্বানে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। বর্তমানে যে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু (চশমা), হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন (তালা), হাউলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম (মাইক), বিএনপি নেতা ওহিদুজ্জামান (আনারস), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান (দোয়াত-কলম) ও নিশান তরফদার (কাপ-পিরিচ)। আ.লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু এবং আবু সাঈদ খোকন দলীয় সমর্থিত প্রার্থী হওয়ায় তারাও রয়েছেন দলীয়ভাবে অনেকটাই এগিয়ে। ফলে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনাই বেশি।

এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর ৩ প্রার্থীও খুব একটা পিছিয়ে নেই বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু সাধারণ ভোটার। তাদের ধারণা এটা স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে দলীয় পরিচয়ের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজই মূখ্য। সাহসী, শিক্ষিত সৎ ও যোগ্যপ্রার্থীকেই বেছে নেবেন ভোটাররা। সুতরাং যেপ্রার্থীর মধ্যে ওই সমস্ত গুণাবলি রয়েছে সেই প্রার্থীই হবেন হাউলী ইউনিয়নের আগামীদিনের চেয়ারম্যান।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু দাউদ জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে উপনির্বাচন সংক্রান্ত চিঠি প্রাপ্তির পর গত ২৪ জুলাই তফশিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী গত ৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র জমা, ৬ আগস্ট বাছাই, ১১ আগস্ট প্রত্যাহারএবং ২৪ আগস্ট ভোটগ্রহণের দিনধার্য করা হয়। আগামী ২৪ আগস্ট ভোটগ্রহণের লক্ষ্য ইতোমধ্যেই প্রয়োজণীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।তিনি আরো জানান, জয়রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়রামপুর ইয়থ ক্লাব, জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় (ডুগডুগি বাজার), দুধপাতিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাস্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৯টি কেন্দ্রে মোট ৮৩টি বুথ সংখ্যা রাখা হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৬৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৩৪৬ জন এবং মহিলা ভোটার ১৩ হাজার ৩১৬ জন। নির্বাচনী প্রতিক গরুরগাড়ি, দেওয়াল ঘড়ি, আনারস, টেলিফোন, কাপ-পিরিচ, তালা, চশমা, দোয়াত-কলম, জাহাজ ও মাইক এই ১০টি বরাদ্দকৃত প্রতিকের মধ্যে (গরুর গাড়ি) বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপির) এবং দেওয়াল ঘড়ি খেলাফত মজলিশের দলীয় প্রতীক হওয়ায় স্থানীয় নির্বাচনে ওই দুটি প্রতীক নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বাদ দেয়া হয়।