আনুশকাকে নিয়ে ‘বিরাট’ ঝামেলায় কোহলি!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রেকর্ডে শচীন টেন্ডুলকার আর অধিনায়কত্বে মহেন্দ্র সিং ধোনির উত্তরাধিকারভাবা হচ্ছিলো তাকে। ইংলিশ পেসারদের সুইংয়ের সুইয়ে বারবার বিদ্ধ হওয়া সেইবিরাট কোহলির ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই,একই সাথে প্রশ্ন উঠলো দলীয়শৃঙ্খলার প্রতি আত্মনিবেদন নিয়েও।মাঠে কোহলি যখন খাবি খাচ্ছিলেন,যখন আরও বেশি মনোযোগ দাবি করছিলো তার ফর্ম,সেই সময় কোহলি নাকি মাঠের বাইরেপ্রেমে মত্ত। শুধু তা-ই নয়, সিরিজের শুরুতে বেশ লম্বা সময় ধরে কোহলির সাথে একই হোটেলকক্ষে রাত্রি যাপন করেছেন আনুশকা শর্মা। যেটি ভারতীয় মিডিয়ারচোখে ‘নজিরবিহীন’।

খোঁজ নিতে বেরিয়ে এলো,কোহলি যেন আরও উজ্জীবিত হন,সে কারণেই নাকি ভারতীয়ক্রিকেট বোর্ডই (বিসিসিআই) বিশেষ বিবেচনায় কোহলিকে আনুশকার সাথে অস্থায়ীসংসার পাতার অনুমতি দিয়েছিলো। কিন্তু এতে লাভ তো হয়ইনি,উল্টো কোহলিক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় কাটিয়েছেন। টেস্ট সিরিজে ১০ ইনিংসে ১৩৪ রানকরেছেন। একটাও ফিফটি নেই। গড় ১৩.৪০। এ সিরিজে তার চেয়েও ভালো ব্যাটিং গড়আছে অ্যান্ডারসন-ব্রডদের। তাতেও কোহলি যদি লজ্জা না পান, এ তথ্যে নিশ্চয়ইমাথা কাটা যাবে তার- কোহলির চেয়ে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির ব্যাটিং গড়ওভালো ছিলো!

আনুশকাকে নিয়ে একই টিম হোটেলে কোহলির রাত্রিযাপন বিসিসিআইয়ের অনেককর্মকর্তাই ভালো চোখে নেননি। শুধু তা-ই নয়, অনেকে ক্ষুব্ধও। তাদের দাবি,এভাবে প্রেমিকাকে নিয়ে একসাথে থাকা নিয়মবিরুদ্ধ। শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়েওপড়ে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকে নাকি আনুশকাকে কোহলির সাথে দেখেচমকেও যান। ব্যাপারটা পুরো অজানাই ছিলো তাদের। কিন্তু কোহলির বিরুদ্ধে কোনোপদক্ষেপ তারা নিতে পারেননি। কারণ খোঁজ নিতেই জানা গেল,কোহলিকে বান্ধবীনিয়ে থাকার অনুমতি দিয়েছেন খোদ বিসিসিআইয়ের সচিব সঞ্জয় প্যাটেল।

প্রবাসে আনুশকা-কোহলির প্রেমপর্ব নিয়ে নাকি দলের মধ্যে উত্তপ্তকথাবার্তাও হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন খবর রটে যায়, এখন থেকে কোনো বিদেশসফরে বউ-বান্ধবীদের আর সাথে নিতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এটাইনাকি নিয়ম করছে বিসিসিআই। একে তো দলের ভরাডুবি,সামনেই আবার বিশ্বকাপ। এরইমধ্যে রবি শাস্ত্রীকে দলের পরিচালক হিসেবে নিয়োগও দেয়া হয়েছে। শাস্ত্রীদায়িত্ব নিয়েই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলের স্বার্থে তার তলোয়ার যেকোনোজায়গাতেই ঘা বসাতে পারে।