জেলা আ. লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের বিবৃতি

 

 

হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যাচার

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত শোকসভায় আমার নামে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমি ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত ঘটনা জেলাবাসীকে অবগত করছি।

জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মিয়া তার বিবৃত্তিতে গত ১৮ আগস্ট জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের দেয়া বক্তব্যের জবাবে ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্র রাজনীতি শুরু থেকে কোন সময় কোন দায়িত্ব পালন করেছেন তা উল্লেখ করে নিজেকে বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগের নেতা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০০৮ সালে হাজি আলী আজগার টগর মনোনয়নপত্র নিয়ে আসার পর তাকে নির্বাচিত করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আমার মতো একজন মানুষ তার বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করবে এটা উনি ভাবলেন কী করে। বরং আমার কাছে এসে এলাকার উন্নয়ন ও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা তার উচিত ছিলো। কিন্তু গত প্রায় সাড়ে ৫ বছরেও তিনি তা একদিনও করেননি।

দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ বলতে পারবে না আমি কারও উপকার ছাড়া কোনো ক্ষতি করেছি। আমার সম্পর্কে এলাকাবাসী সবই জানে।আমি সংসদ সদস্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, আমার ছেলে ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে লেখাপড়ার জন্য স্কলারশিপ পায়। তাকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর জন্য মার্চ মাসে আমি তার ঢাকার অফিসে গিয়ে এক মাসের জন্য ২ লাখ টাকা ধার করি। এ টাকা তিনি তার ছোট ভাই শামীমের নিকট থেকে দিলেন বলে তিনি জানান। এ টাকা নেয়ার একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই এমপি সাহেব আমার কাছে মোবাইল করে টাকা চান, বলেন টাকাটা শামীমের ব্যবসার, দিয়ে দেয়া দরকার। আমি দু-একদিনের মধ্যেই টাকা দিয়ে দেবো বলে জানাই। একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই আমি তার অফিসে উপস্থিত হয়ে ২ লাখ টাকা তার হাতে তুলে দিই। আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত। তার চোখের কোনো অসুখ নেই। কোনো দিন হয়তো এমপি সাহেবের সাথে আলাপ করাকালে আমি আমার স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে জানিয়েছি। কিন্তু আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তার নিকট টাকা চেয়েছি! এমন ডাহা মিথ্যা কথা তিনি কোথায় পেলেন। আমার স্ত্রীর চোখের কোনো অসুখ নেই। তারপরও তিনি আমার স্ত্রীর চোখের চিকিৎসার জন্য কতো টাকা দিয়েছেন, তা কী তিনি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলতে পারবেন। বলতে পারলে দাবিকৃত টাকা বিনাবাক্যে এখনই পরিশোধ করে দেবো। কয়া গ্রামের করস্থানের নামে যে মাল দেয়া হয়েছিলো তার কোনো কাজই হয়নি। এ কথা ওই গ্রামের সবাই জানে। অথচ তিনি এ নিয়েও মিথ্যাচার করেছেন। শুধু কয়া গ্রাম কেন উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামেই বরাদ্দ দেয়া মালের কোনো হদিস নেই। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। সংসদ সদস্য আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়াকালে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অশালীন বাক্য ব্যয় করেছেন।