ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চাকরি না করে, বিদেশে না গিয়ে কৃষিকাজ করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরালেন সুবদিয়ার ইকবাল বিশ্বাস। এ বছর বর্ষা মরসুমে তরমুজের চাষকরে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ইকবাল হোসেন জানান, এসএসসি ফেল করলে আর লেখাপড়া জোটেনি তার ভাগ্যে। বাপের একমাত্র ছেলে সন্তান হওয়ায় আয় রোজগারের দিকে ঝুঁকে পড়তে হয়েছে তাকে। ধান, পাটসহ গতানুগতিক কৃষি কাজ করে লাভের মুখ দেখতে পাননি তিনি। নিজের জমি বেশি না থাকলেও পরের জমি লিজ নিয়ে ৪/৫বছর ধরে মরসুমি সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউয়ের চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে তিনি। প্রতি বছর খরচ বাদ দিয়ে ও ৪/৫লাখ টাকা লাভ করেছেন। গতকাল ইকবাল বিশ্বাসের মরসুমি তরমুজের ক্ষেত দেখতে গেলে তিনি আরও বলেন, ফুলবাড়ি গ্রামের গঞ্জের আলীর কেরু কোম্পানির বোরিঙের মাঠের ১০বিঘা জমি লিজ নিয়ে মে মাসে তাইওয়ান জাতের জেসমিন- ওয়ান, জাপান-ফেরারি ও ইন্ডিয়ান-ব্লাকবেরি জাতের মরসুমি তরমুজের চাষ করেন। ১০বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫লাখ ৫৫হাজার টাকা। তরমুজ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬লাখ টাকার। এখনো ক্ষেতে তরমুজ আছে আনুমানিক ৩লাখ টাকার। তরমুজের ব্যাপক লাভ হওয়ায় তিনি বেজায়খুশি। ইকবাল বিশ্বাস আরও বলেন, তরমুজ বিক্রি করে ওই জমিতে আগাম কপি, টমেটো ও আলুর চাষ করার পরিকল্পনা আছে তার। ৫/৭লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে, ৫/৬লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরির জন্য দালালদের পিছু পিছু না ঘুরে কৃষি কাজ করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরানো যায় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইকবাল বিশ্বাস।