স্টাফ রিপোর্টার: সাবধান! এখানে মাঝে মধ্যেই চোর আসে। এ সাবধানবানী শুনে ক’জনই আর তাদের মোটরসাইকেল সাইকের স্ট্যান্ডে রাখেন? যারা রাখেন না, তাদেরই কারো কারো মোটরসাইকেল চোখের পলকে চুরি হয়। গতকাল সোমবারও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অদূরবতী রাস্তার পাশ থেকে একটি ডিসকভারি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে শুধু রোগী ভাগানো দালালচক্রেরই উৎপাত নয়, নানা পদের চোরেরও উৎপাত যেন লেগেই আছে। বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাল চত্বর থেকে মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। ইতোমধ্যে চোরচক্রের কয়েক সদস্য পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে। মোটরসাইকেল চুরি বন্ধ হয়নি। গতকাল মেহেরপুর পিরোজপুরের গহ্বরপুর গ্রামের মৃত রিফাতউল্লার ছেলে রফিকুরেল একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। রফিকুল বলেছেন, সকাল আনুমানক ১০টার দিকে রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে আসি। মোটরসাইকেলটি ইমাজেন্সির অদূরে রেখে ভেতরে যায়। রোগী দেখে ফিরে দেখি মোটরসাইকেলটি নেই। নেই তো নেই-ই। কালো রঙের ডিসকভারি ১৩৫ সিসি কুষ্টিয়া ল ১১ ০৩২৮ মোটরাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি জানার পর অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, এখানে মাঝে মাঝেই চোর আসে। কিছুদিন আগে সদর থানার ওসি একটি স্টিকার মেরে সকলকে সাবধানও করেন। তাতে সাড়া মেলেনি। মোটরসাইকেল চুরি মামলায় কয়েকজন ধরা পড়লেও বন্ধ হয়নি চুরি।