নজরদারিতে শায়খ আবদুর রহমানের স্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘আমাদের সঙ্গে কারও কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো সংগঠন করি না। আত্মীয়স্বজনেরাও খোঁজখবর নেয় না।’জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমানেরস্ত্রী নূরজাহান বেগম (রূপা) গতকাল শনিবার প্রথম আলোর কাছে এই দাবি করেন।তিনি জানান, গোয়েন্দারা এখনো তার পরিবারের ওপর নজরদারি করে।

নূরজাহান২০০৬ সালের ২ মার্চ স্বামী আবদুর রহমানের সঙ্গে সিলেটে গ্রেফতারহয়েছিলেন। পরে তিনি জামিন পান। মুক্তি পেয়ে ওঠেন জামালপুরের নয়াপাড়ার নিজবাড়িতে। সেখানে তিনি এখন তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন।
শায়খ আবদুর রহমানের ফাঁসির রায় কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ।এখনতার পরিবারের অবস্থা কেমন-জানতে চাইলে নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমরা অনেকটানজরবন্দী হয়েই থাকি। জামালপুর ৱ্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজনবাড়িতে এসে খোঁজখবর করে। মাঝে মাঝে তল্লাশিও চালায়। তারা জানতে চায়স্বামীর কোনো আত্মীয়স্বজন দেখা করে কি না।’

নূরজাহান জানান, তার চারছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে নাবিল জঙ্গি মামলায় কারাগারে। অপর তিন ছেলের একজনএবার এইচএসসি পাস করেছেন। বাকি দুজন মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ছে। আর মেয়ে আফিফারস্বামী আবদুল আউয়াল জেএমবির শুরা সদস্য ছিলেন। শ্বশুরের সঙ্গে তাঁরওমৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। মেয়ে এখন মায়ের সঙ্গেই থাকেন।
কীভাবে সংসারচলে—জানতে চাইলে নূরজাহান বেগম বলেন, ভাটারা এলাকায় তাঁদের অনেক সম্পত্তিরয়েছে। সেই সম্পত্তির ধান-পাট বিক্রি করে এবং বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার চলেযায়। মেজো ছেলে পড়ার ফাঁকে সংসার দেখাশোনা করে।