চুয়াডাঙ্গা কলোনিপাড়ার বাদশার ওপর নৃশংস হামলা মামলা: গ্রিনলাইফের ইনটেনসিভ ইউনিটে স্থানান্তর

 

কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিবাদ বিবৃতি : ধরা পড়েনি আসামি

স্টাফ রিপোর্টার: একদল যুবকের নৃশংসতার শিকার বাদশাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল তাকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দায়ের কৃত মামলার আসামিদের একজনকেও পুলিশ গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।

চুয়াডাঙ্গা কলোনির গাজিউর রহমান গাজীর মাস্টার্স পাস ছেলে বাদশাকে গত ১২ আগস্ট সরকারি কলেজের অদূরে মোটরসাইকেল মেকানিকের দোকানে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। ওই দিনই তাকে সেখানে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও গতকাল অবনতি দেখা দেয়। ফলে তার নিকজনেরা ঢাকা গ্রীন রোডের গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা চলছে। এদিকে বাদশার পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ছাত্রলীগ নেতা তারেকসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখা গতকাল এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেকসহ ছাত্রলীগের নেতাদের নামে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে দায়ের করায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, সাধারণ সম্পাদক তারেক যুক্ত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। কলেজের পাশে কলোনিপাড়ার বাদশাকে কুপিয়ে যারা যখম করেছে তাদের আড়াল করে ছাত্রলীগ নেতা তারেক, হিমেল, খালিদ, জিম, টোকন, রানা, সৌরভ, রবিন ও সজিবকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে বলেও ছাত্রলীগের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।