চুয়াডাঙ্গায় টাপুর টুপুর সন্দীপে মুষলধারে বৃষ্টি : উজানের পানিতে তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি

 

আরো দু দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা : সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গতকাল ছিলো টাপুর-টুপুর বৃষ্টি। সন্দীপে বৃষ্টি হয়েছে মুষলধারে। গত তিন দিন ধরে প্রায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে দেশের অধিকাংশ এলাকায়। মরসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় আরো অন্তত দু দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অপরদিকে উজানথেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সন্দীপে রেকর্ড করা হয়েছে ১২৩ মিলিমিটার। যা গতকাল ছিলো দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩২ দশমিক শূন্য ও সর্বনিম্ন টেকনাফে ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এদিকে গতকাল শনিবার অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মরসুমি বায়ুর অক্ষরাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবংবাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।‘এরএকটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মরসুমি বায়ুবাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে অন্যত্র প্রবল রয়েছে। গতকাল রাজধানীতে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

মরসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে অন্যত্র প্রবল রয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে মরসুমি বায়ু প্রবল থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরএলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়েযাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ নাদেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। অপরদিকে উজানথেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবাররাত থেকে গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়েপ্রবাহিত হয়। ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার এবংনীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েপড়ে। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর আমন ধান ক্ষেত।শুক্রবার রাতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিতহওয়ায় ডিমলার ডালিয়া-তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী গতকাল শনিবার রাত ৮টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিরকারণে লালমনিরহাটে ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। ভুরুঙ্গামারীতেদুধকুমার নদের ভাঙ্গনে সোনাহাট রেলওয়ে সেতু হুমকির মুখে পড়েছে।