ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২২০ জন প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করেছে। আপাতত উপজেলা ও কোটার কোনো হিসাব নেই। হাতে গণনা করা তাই ২২০ এর কম-বেশি হতে পারে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সব তথ্য জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৩ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ২৩ জুলাই-২০১৪ তারিখে সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত হয়। ঝিনাইদহে ২৩৮টি রোল নম্বরের একটি তালিকা ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্বের সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ সমস্ত প্রকার কোটার সনদের সত্যায়িত কপি ১৪ আগস্ট তারিখের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২২০ জনের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করে থাকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
অন্যদিকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে আসা হামদহ এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক অফিস দুর্নীতির কারখানা। আগে এখানে রাতে ও ছুটির দিনে টাকার বিনিময়ে নতুন কাগজ পত্র জমা দিতে দেখা যেতো। আমরা ভয়ে আছি আবারো কি এবার এমন হয়?
কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে আসা আরো কয়েকজন জানান, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ ফরমে প্রার্থীর উপজেলার নাম দেয়া আছে। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন জমা নিয়ে উপজেলা অনুয়ায়ী ফাইল রাখলে, উপজেলা ও কোটার হিসাব সাথে সাথে পাওয়া যেতো। কিন্তু তা না করে সমস্ত কাগজপত্র এক ফাইলে রেখে কালক্ষেপণ করবে। এতে করে পরে সাংবাদিকদের হিসাব দিতে পারবে না। ফলে অফিস ছুটিকালীন সময়ে টাকার বিনিময়ে নতুন করে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করতে তাদের সুবিধা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিবপদ দে জানান, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২২০ জনের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করা হয়েছে। হাতে গণনা করা তাই দু-একটি কম-বেশি হতে পারে বলে তিনি জানান। আপাতত উপজেলা ও কোটার কোনো হিসাব নেই। তবে অন্যান্য ব্যাপারে তিনি জানান, আমি থাকাকালীন সময়ে ঝিনাইদহে অপ্রীতিকর কোনো অবস্থা সৃষ্টি হবে না। প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে আসা প্রার্থীদের জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা একটু সজাগ থাকলে হয়তো পূর্বের ন্যায় ঘটনা এবার নাও ঘটতে পারে।