গাজার শিশুদের জন্য খেলবেন মেসি

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইসরায়েলবাহিনী কেড়ে নিচ্ছে গাজার নিরীহ হাজার শিশুর প্রাণ। গাজার শিশুদের জন্য মনকাঁদে বিশ্বের হাজারও মানুষের। ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের চলমান সংঘর্ষে যেসবছবি আছে,সেগুলো দেখে কদিন আগে ফেসবুক পেজে লিওনেল মেসি লিখেছিলেন,গাজারজন্য আমার মন কাঁদে। আমার মন ব্যথায় ভার হয়ে আছে। কারণ ফিলিস্তিনেররক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অসংখ্য শিশুকে দেখে আমি আর সইতে পারছিনা।

লিওনেলমেসি বিশ্বজুড়ে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতহিসেবে কাজ করে আসছেন ২০১০ সাল থেকে। শিশুদের ভালোবাসেন তিনি। তাই ফুটবলেরমাধ্যমে শিশুদের অধিকার রক্ষায় সক্রিয় মেসি।ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত মেসিআহ্বান জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ থামিয়ে যেন ফিরে আসে শান্তি। শুধু ফেসবুকেপোস্ট দিয়ে নয়, এবার মেসি আক্ষরিক অর্থেই নেমে পড়েছেন মাঠে। পোপফ্রান্সিসের আহ্বানে ১ সেপ্টেম্বর রোমে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করাহয়েছে। এ ম্যাচে খেলবেন মেসি। ম্যাচটির নাম দেয়া হয়েছে ‘পার্টিয়া পারলা পেস’ (শান্তির জন্য ম্যাচ)।ম্যাচটি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তাআর্জেন্টাইন কিংবদন্তি হাভিয়ের জানেত্তি। ইন্টার মিলানের এ মহাতারকাকেআদর করে ভক্তরা ডাকেন ‘পাপি’। সেই পাপি ফাউন্ডেশন ম্যাচটির উদ্যোক্তা। যেম্যাচে মেসির সাথে ডিয়েগো ম্যারাডোনার খেলার কথা রয়েছে।এ ম্যাচে আরোখেলবেন ইতালির রবার্তো ব্যাজ্জো,যিনি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। খেলবেন ইসলামধর্মের অনুসারী জিনেদিন জিদান। থাকছেন ইসরায়েলের তারকা ফুটবলার ইয়োসিবেনাইয়ুন। মুসলিম, ইহুদি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের সব বর্ণের  মানুষকাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড় করিয়ে দেবে এ ম্যাচ। উদ্যোক্তাদের একজন জানান, তাদের লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষদের মাঠে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে এবার্তা ছড়িয়ে দেয়া, মাঠে যদি এটা সম্ভব হয়, মাঠের বাইরে কেন নয়।উদ্যোক্তারা বলেছেন, এ ম্যাচ থেকে টাকা কামানোর উদ্দেশ্য তাদের নেই। বরংম্যাচটি চাইলে দেখতে পারবে যে কেউই।