প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি কোপে মৃত্যুশয্যায় কলোনির শিক্ষিত যুবক বাদশা

চুয়াডাঙ্গা কলেজের অদূরে মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টারে কয়েক যুবকের নৃশংস হামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা কলোনির মাস্টার্স পাস যুবক বাদশাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অদূরবর্তী একটি মোটরসাইকেল সার্ভিসিং দোকানে কয়েকজন যুবক নৃশংস এ হামলা চালায়।

বাদশা (২৫) চুয়াডাঙ্গা কলোনিপাড়ার গাজী উর রহমান গাজীর ছেলে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকালই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাদশা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। গাজী উর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। ছাত্রলীগের কয়েকজন বাদশার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেও পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, কেন বাদশার ওপর নৃশংস হামলা চলানো হয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না। তবে একাধিক সূত্র বলেছে, গত ঈদের দিন সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

জানা গেছে, বাদশা এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। লেখাপড়া করেছেন ঢাকায়। মাস্টার্স পাস করে সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। গতকাল তিনি মোটরসাইকেল মেরামতের জন্য চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অদূরবর্তী তারেক মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টারে আসেন। সেখানেই বসে ছিলেন তিনি। বেলা আনুমানিক ৩টার দিকে একদল যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তার ওপর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে এলোপাতাড়ি কোপানোর পাশাপাশি বেশ কয়েক স্থানে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়েও রক্তাক্ত জখম করা হয়। হামলাকারীরা সরে গেলে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসক বলেছে, মাথায়, উরুতে, ঘাড়েসহ শরীরের অসংখ্য স্থানে কোপানো হয়েছে। মাথায় ও পেটের ছুরিকাঘাত গুরুতর। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিকেলেই তাকে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। গতরাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছে বলে সাথে থাকা লোকজন জানিয়েছেন। সূত্র বলেছে, ঈদের দিন বিএডিসি ফার্মের মধ্যে বাদশার সাথে হিমেলসহ কয়েকজনের কটুক্তি করা নিয়ে বিরোধ বাধে।

বাদশার নিকটজনদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেছেন, ছাত্রলীগের হিমেল, জীমসহ তাদের সহযোগীরা হামলা চালিয়েছে। হামলার আড়ালে নারী ঘটিত নাকি অন্য কিছু তা স্পষ্ট করে জানা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। মামলা হয়নি। পরিবারের এক সদস্য বলেছেন, বাদশাকে সুস্থ করতেই সকলে ব্যস্ত। মামলা করবে কখন?